Suvendu Adhikari: হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট আর নবান্ন মিলে মিশে এক, ‘কমিশন কি ঘুমোচ্ছে?’, কীসে বিরক্ত শুভেন্দু?
Suvendu attacks Mamata: নবান্নকে তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ের মতো করে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সচিবালয়ে বসে ভবানীপুরের প্রার্থী আগামিকালের ভোট নিয়ে আলোচনা করছেন তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়া গোয়ার নেতাদের সঙ্গে। টুইট শুভেন্দু অধিকারীর।
কলকাতা: আজই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা লুইজিনহো ফেলেইরিও। নবাগত নেতাকে দলে স্বাগত জানিয়ে তাঁর সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনাও সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা-ফেলেইরিও গোটা বৈঠক পর্বটাই চলে নবান্নে বসে। রাজ্যের সচিবালয়ে বসে এই ধরনের দলীয় কর্মসূচি করায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মমতা।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেছেন। লিখেছেন, নবান্নকে তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ের মতো করে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সচিবালয়ে বসে ভবানীপুরের প্রার্থী আগামিকালের ভোট নিয়ে আলোচনা করছেন তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়া গোয়ার নেতাদের সঙ্গে। সরাসরি প্রশাসনিক বিধি লঙ্ঘন করছেন মমতা।”
Nabanna’s being used as TMC Party office. The Bhabanipur candidate is discussing tomorrow’s poll with Goa TMC appointees at State Secretariat? Regular breach of administrative protocols. Wonder if Chief Secretary is typing appointment letters on TMC letterheads. EC is sleeping? pic.twitter.com/nhv7vthQRp
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 29, 2021
শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, “রাজ্যের মুখ্য সচিব কি ওখানে বসে তৃণমূলের প্যাডে নিয়োগপত্র টাইপ করছেন? নির্বাচন কমিশন কি ঘুমিয়ে রয়েছে নাকি?”
আজ সকালে প্রথমে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো। এরপরই তৃণমূল ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এই যোগদানের দ্বারা তৃণমূল যে কংগ্রেসের ঘরেও বড় আঘাত হানতে সক্ষম হল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি ত্রিপুরার পর আরেকটি ছোট রাজ্য়েও তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ পা বাড়াতে শুরু করল। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
কিন্তু তাই বলে নবান্নকেই যদি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট বানিয়ে দেওয়া হয়! বিরোধীরাই বা ছেড়ে কথা বলবেন কেন?
সম্প্রতি ভবানীপুর নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। ভবানীপুরে ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আর সেই নিয়েই সম্প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা শুনতে হয় তাঁকে।
উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেই দ্রুত উপ-নির্বাচন করা হচ্ছে ভবানীপুরে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই মর্মেই আবেদন জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিব প্রশাসনিক পদে থেকে নির্বাচনের জন্য এ ভাবে চিঠি লিখতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
এভাবেই একাধিকবার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও নবান্ন মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। আজ আবারও সেই অভিযোগেই উস্কে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।