Mamata Banerjee-Amartya Sen: পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মমতার, বলছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন
Mamata Banerjee: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের কথায়, যদি মনে করা হয় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন বিজেপির জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো হবে, তাহলে তা খুব ভুল হবে।
কলকাতা: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। না, কোনও তৃণমূল নেতা নন, এই মন্তব্য করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে অমর্ত্য সেনের আরও মন্তব্য করেন, যদি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি পরাজিত হয়, তাহলে বড় ভূমিকা থাকবে আঞ্চলিক দলগুলির। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই বললেন তিনি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের কথায়, যদি মনে করা হয় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন বিজেপির জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো হবে, তাহলে তা খুব ভুল হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু আঞ্চলিক দলের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন অমর্ত্য সেন।
৯০ বছর বয়সি নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদের কথায়, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা থাকলেও, বিজেপির বিরুদ্ধে আমজনতার তৈরি হওয়া হতাশা নিজের দিকে টানতে পারেন কি না, সেটি এখনও তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডিএমকে, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এনসিপি, জেডিইউ সহ বেশ কিছু আঞ্চলিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার পথে এগোচ্ছে। তারা দাবি করছে, ভোট যদি দ্বিমুখী হয়, তাহলে বিজেপিকে হারানো কঠিন হবে না।
অমর্ত্য সেনের কথায়, বিজেপিকে যথেষ্ট শক্তিশালী দেখালেও, তাদেরও কিছু কিছু দুর্বলতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি যদি প্রকৃত অর্থে চেষ্টা করে, তাহলে লড়াইয়ের ময়দান তারাও পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কি না, সেই বিষয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “এমন নয় যে তাঁর ক্ষমতা নেই, অবশ্যই তাঁর সেই ক্ষমতা রয়েছে। তবে একইসঙ্গে এটাও প্রমাণ হওয়া বাকি, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের হতাশাকে তিনি নিজের দিকে টানতে পারেন কি না।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ফেডারাল ফ্রন্ট নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রাও, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরীবালরা মিলে এই ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। সেই বছরের জানুয়ারিতে আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের নিয়ে কলকাতায় একটি মেগা সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে, দেবেগৌড়া, কেজরীবাল, অখিলেশ, স্টালিন, শহর পাওয়ার, অমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লারা উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল সুপ্রিমোর দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করলেও কংগ্রেসের বর্তমান হালচাল নিয়ে বেশ হতাশা উঠে এসেছে অমর্ত্য সেনের কথায়। বললেন, “দেখে মনে হচ্ছে কংগ্রেস অনেকটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আমি জানি না কেউ কংগ্রেসের উপর কতটা ভরসা রাখতে পারে। তবে এও ঠিক, কংগ্রেসের একটি সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যা অন্য কোনও দল দখল করে নিতে পারে না। কিন্তু কংগ্রেসের মধ্যে অনেক ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে।”