Satabdi Roy: মধ্যাহ্নভোজ বিতর্কের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই ‘অন্য’ শতাব্দী, ফুটপাথের ধারে বসেই পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া
Satabdi Roy Street Food: শতাব্দীকে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন মেজাজে। ফুটপাথের ধারের একটি দোকানে বসে পাত পেড়ে খেলেন। এবার সঙ্গী তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
কলকাতা: শুক্রবারের মধ্যাহ্নভোজ বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy)। সাফাই দিয়েছেন। বলেছেন, সেই বাড়িতেই খেয়েছেন। কিন্তু তবু বিরোধীরা খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে নাগাড়ে। আর এরই মধ্যে শতাব্দীকে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন মেজাজে। ফুটপাথের ধারের একটি দোকানে বসে পাত পেড়ে খেলেন। এবার সঙ্গী তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। ডেকার্স লেনের ধারে ফুটপাথের উপর একটি দোকানে বসে খেলেন বাসন্তী পোলাও, লেমন ফিশ। একই মেনু কুণালের পাতেও। দু’জন মিলে চাও খেয়েছেন সেখানে।
শহর তিলোত্তমার স্ট্রিট ফুডের জন্য যে এলাকাগুলি অতি পরিচিত, তার মধ্যে অন্যতম হল এই ডেকার্স লেনে। শনিবার সেখানেই হঠাৎ হাজির কুণাল ঘোষ ও শতাব্দী রায়। শহুরে ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ শাসক দলের দুই তাবড় নেতাকে দোকানের সামনে দেখে খানিক হকচকিয়ে গিয়েছিলেন দোকানের মালিকও। তারপর শতাব্দীর কথায় সম্বিত ফেরে তাঁর। সাংসদ জানালেন, খাবার খেতেই এসেছেন তাঁরা। এরপর দোকানে ধারে একেবারে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো টুলে বসে খেলেন লেমন ফিশ আর বাসন্তী পোলাও। নিতান্তই সাদামাটা শতাব্দী। তৃণমূলের তারকা সাংসদকে এভাবে নাগালের মধ্যে পেয়ে ভিড় জমে গিয়েছিল ডেকার্স লেনের ওই দোকানের সামনেও।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গতকালের মধ্যাহ্নভোজন বিতর্কের কথা ফের একবার উঠে এল শতাব্দীর গলায়। আবারও বললেন, “মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। কালকে আমি ওখানেই খেয়েছি। মাটন, বেগুন ভাজা, সব খেয়েছি। আমি মাটির বাড়িতে খেয়েছি। আমি ১৪ বছর ধরে খেয়েছি। কালকেও খেয়েছি। আমার বদনাম করা হয়েছে।” বিরোধীদের খোঁচার জবাব দিয়ে সাংসদ বলেন , “আমাকে ফাইভ স্টার থেকে এনে খাওয়ানো হয়নি। আমি ওদের বাড়িতে খেতে পছন্দ করেছি।”
গতকালের মধ্যাহ্নভোজন বিতর্কের পর এদিন রাস্তার ধারে ফুটপাথের উপর দোকানে বসে খাওয়া-দাওয়া। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এটি ড্যামেল কন্ট্রোলের চেষ্টা? যদিও কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, গতকালে ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। শতাব্দীর সঙ্গে তাঁর আগেই কথা হয়েছিল, কলকাতায় এলে দেখা করবেন। সেই মতোই এদিনের খাওয়া দাওয়া।