AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পায়েল পালের দেবীর সম্মান পুজোর আলো পৌঁছে দিল যৌন কর্মীদের উঠোনেও

Debi Samman for Adult Workers: বাঙালির পুজো সম্প্রীতির, বাঙালির পুজো সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার কথা বলে। এখানে নেই কোনও ধর্ম-জাত-বর্ণ বা পেশাগত ভেদাভেদ। সেটাই আবার প্রমাণ করলেন সামাজিক ব্যবসায়ী পায়েল পাল। যাঁদের উঠোনের মাটি ছাড়া মূর্তি নির্মাণ সম্ভব নয়, সেই যৌনকর্মীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। 'পুজো গিফট ইনিশিয়েটিভ'-এর মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

পায়েল পালের দেবীর সম্মান পুজোর আলো পৌঁছে দিল যৌন কর্মীদের উঠোনেও
| Updated on: Sep 25, 2025 | 5:12 PM
Share

বাঙালির পুজো সম্প্রীতির, বাঙালির পুজো সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার কথা বলে। এখানে নেই কোনও ধর্ম-জাত-বর্ণ বা পেশাগত ভেদাভেদ। সেটাই আবার প্রমাণ করলেন সামাজিক ব্যবসায়ী পায়েল পাল। যাঁদের উঠোনের মাটি ছাড়া মূর্তি নির্মাণ সম্ভব নয়, সেই যৌনকর্মীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ‘পুজো গিফট ইনিশিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী। পায়েল পালের এই উদ্যোগে সহযোগী হয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ‘আমরা পদাতিক’। এই সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন যৌনকর্মীদের সন্তানরা। যৌনকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের কাছে পুজোর আগে পৌঁছে দেওয়া হল উৎসবের প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

তবে এঁরা একা নন, পায়েল পাল এবং আমরা পদাতিকের এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছিল মার্লিন গ্রুপ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কার্টুনিস্ট উদয় শঙ্কর গাঙ্গুলি, মমতা রায়, শুভলক্ষ্মী সেনগুপ্ত, কৃষ্ণ লখমণি, জ্যোতিষ ভাস্কর অরুণ বরাল, সুপর্ণা রায়, নৃত্যশিল্পী অতসী বিশ্বাস এবং আরও বহু শুভানুধ্যায়ী।

Devi Samman (1)

এই বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে পায়েল পাল বলেন, “দুর্গাপুজো একতার উৎসব, এই উৎসবে কেউ যেন বাদ না পড়ে যায় সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছি আমি। এই উদ্যোগ প্রতিবছর যে অসীম সমর্থন পায়, তা আমাকে আরও উৎসাহ দেয়, উৎসবকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহানুভূতিশীল করে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যেতে।”

সময়ের সঙ্গে আজ ‘পুজো গিফট ইনিশিয়েটিভ’ যেন এক সংহতির প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে প্রান্তিক মানুষের। নিশ্চিত করেছে যেন দুর্গাপুজোর আনন্দ পৌঁছে যায় সমাজের সেই সব মানুষগুলির কাছেও যাঁরা সারাবছর উপেক্ষিত হয়ে থাকেন।

কলকাতা যখন মহোৎসবের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন এই উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় সম্মিলিত উদ্যোগের শক্তি। প্রকৃত উৎসব সেটি যেখানে সমাজের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায়।