PM Modi: ‘আইনশৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন’, নাগরাকাটার ঘটনার নিন্দা মোদীর, তৃণমূল-বিজেপিকে দিলেন বার্তা
PM Modi condemns attack on BJP MP: তৃণমূল ও বিজেপিকে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "আমার একান্ত কামনা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধারকাজে সহায়তা করে যান।"

নয়াদিল্লি ও কলকাতা: বন্যা বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির নাগরকাটা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনার নিন্দা করে এবার সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন তিনি। বললেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অংসবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন এই হামলা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি কার্যকর্তাদের জনগণের পাশে থেকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করারও বার্তা দিলেন তিনি।
নাগরকাটায় বিজেপির দুই নেতার উপর হামলার নিন্দা করে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ইংরেজি ও বাংলায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা-যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অংসবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।”
এরপরই তৃণমূল ও বিজেপিকে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমার একান্ত কামনা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধারকাজে সহায়তা করে যান।”
এদিকে, খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নিতে এদিন রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে ফোন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিজেপির আক্রান্ত দুই নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। জানা গিয়েছে, শমীককে রাজনাথ বলেন, বাংলার মানুষ এইসব বরদাস্ত করবে না। বাংলার মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। বাংলায় হিংসার কোনও স্থান নেই। সবাই মিলে ঘটনার প্রতিবাদ করতে হবে বলেও শমীককে বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ।
বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সাংসদ খগেন মুর্মুর আঘাত গুরুতর। চোখের তলায় হাড়ে আঘাত লেগেছে। দরকার হলে দিল্লি এইমসে নিয়ে যেতে হতে পারে।” আগামিকাল আক্রান্ত সাংসদকে দেখতে তিনি হাসপাতালে যাবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে না জানিয়ে বিশাল কনভয় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের সুরক্ষায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে এই ঘটনায় কীভাবে রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ কিংবা তৃণমূলকে দোষারোপ করা যায়, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
