Poster: বছর শেষে ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’র পোস্টার, নেপথ্যে কারা?
Poster Politics: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পড়া এইসব পোস্টারে সঙ্গে সেই বক্তব্যের সম্পর্ক রয়েছে। আপাতত এই পোস্টারগুলিকে বিকল্প রাজনীতিকে বঙ্গে চর্চায় আনার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে।
কলকাতা: প্ল্যান ‘এ’ কাজ না করলে প্ল্যান ‘বি’ তৈরি থাকে। অর্থাৎ মূল পরিকল্পনা কার্যকর না হলে বিকল্পের পথেই হাঁটতে হয়। কিন্তু তা বলে পোস্টার সাঁটিয়ে ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’র খোঁজ, এই প্রথমবারই দেখল বাংলা। বছরের শেষ দিনে ‘কলকাতা টু কোচবিহার’ সরগরম এই তিন শব্দের একটা পোস্টারেই। কে বা কারা এই পোস্টারের পিছনে, কারা খুঁজছে বিকল্প, এই প্রশ্ন উঠছে।
আজ সকালে গড়িয়াহাটে এই পোস্টার দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার কেউ লাগিয়ে থাকতে পারে। এরপর একে একে খবর আসতে থাকে, শ্যামবাজার, পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইডের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ওদিকে আবার পোস্টার পড়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙাতেও।
বিকল্প রাজনীতির কথা বঙ্গ রাজনীতিকে এর আগে একাধিক বিরোধী নেতার মুখে শোনা গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পড়া এইসব পোস্টারে সঙ্গে সেই বক্তব্যের সম্পর্ক রয়েছে। আপাতত এই পোস্টারগুলিকে বিকল্প রাজনীতিকে বঙ্গে চর্চায় আনার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে।
এ নিয়ে কৌস্তভ বাগচীর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের ভবিতব্য হতে চলেছে বিকল্প রাজনীতি। আজ সারা বাংলাজুড়ে শোনা যাচ্ছে এরকম পোস্টারও পড়েছে। আমি কখনওই দায় এড়াব না যে বিকল্প রাজনীতির কথা আমি বলিনি। বারংবার বলেছি। আগেও বলেছি, আজও বলছি, আগামিদিনেও বলব। আর আমার এই কথা যদি কোনও ব্যক্তি বা সমষ্টিকে উদ্বুদ্ধ করে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি।”
এ নিয়ে তৃণমূলের মাথাভাঙা শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “নাম ছাড়া এসব পোস্টার। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। যে কেউ রাজনীতি করতে পারে। কে পোস্টার দিল, জানি না। নাম ছাড়া পোস্টারের কী বা গুরুত্ব?”