Piyali Basak in Everest: এভারেস্টের শিখর ছুঁয়ে নয়া রেকর্ড বাংলার পিয়ালির, শীঘ্রই সাক্ষাতের সম্ভাবনা মোদীর সঙ্গে, তোড়জোড় লকেটের

Piyali Basak in Everest: এটাই পিয়ালির প্রথম চেষ্টা নয়। এর আগেও এভারেস্ট জয় করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে সেইবার ফিরে এসেছিলেন খুব কাছ থেকে। তবে অদম্য জেদের কাঁধে ভর করেই ফের ছুটে গিয়েছেন বন্ধুর পার্বত্য পথে। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।

Piyali Basak in Everest: এভারেস্টের শিখর ছুঁয়ে নয়া রেকর্ড বাংলার পিয়ালির, শীঘ্রই সাক্ষাতের সম্ভাবনা মোদীর সঙ্গে, তোড়জোড় লকেটের
ছবি - শীঘ্রই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা পিয়ালির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 9:26 PM

কলকাতা ও হুগলী: পিয়ালির এভারেস্ট (Everest) জয়ের উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা সহ গোটা দেশেই। এবার পিয়ালি ঘরে ফিরলেই তাঁর সঙ্গে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দেখা করানোর তোড়জোড় শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি। অক্সিজেন ছাড়াই এই এভারেস্ট জয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক নয়া রেকর্ড। এর আগে দেশের ইতিহাসে এই নজির ছিল না বলেও মনে করা হচ্ছে। এমনকী বিশ্বেও সম্ভবত এই রেকর্ড দ্বিতীয়বারের জন্য করলেন কোনও মহিলা। প্রসঙ্গত, পিয়ালির জয়ে বাংলার গর্বের দিন শুরু হলেও এই বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে চন্দননগরের পিয়ালির পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে হুগলীর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। রবিবারই এ বিষয়ে সাংসাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর আপ্ত সহায়ক জানান রাজ্যের বাইরে থাকার জন্য পিয়ালির বাড়ি যেতে পারেননি লকেট। তবে গতকালই তাঁর বাড়ি ছুটে যান হুগলীর বিজেপি জেলা সভাপতি তুষাঢ় মজুমদার।

এ প্রসঙ্গে তুষাঢ় বাবু বলেন, “আমরা ওখানে গিয়ে প্রথমে পিয়ালির মায়ের সঙ্গে কথা বলি। মেয়ের জয়ে ওরা খুবই খুশি। পিয়ালির পাশে দাঁড়াতে এলাকার সাংসদ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাও আমি দিয়ে এসেছি ওঁর মায়ের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাতে পিয়ালির দেখা করানো যায় সেই বিষয়েও কথাবার্তা চলেছে। আর্থিক সমস্যার সুরাহা যাতে হয় তা নিয়েও আমরা কথা বলব”।  এই তুষাঢ় মজুমদার আবার শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ধনেখালির তৃণমূল প্রার্থী অসীমা পাত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তবে জয় আসেনি। প্রসঙ্গত, পিয়ালির এভারেস্ট জয়ের জন্য এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকা। ব্যক্তিগত লোন, ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সিংহভাগ টাকা তোলা সম্ভব হলেও এখনও নেপাল সরকারের কর, সামিট বোনাস, এজেন্সি টিপসের টাকা বাবদ বাকি ৪ লক্ষ টাকা। বর্তমানে এলাকার বিধায়ক বা সাংসদদের তরফে তাঁর ঋণের বোঝা কমাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পিয়ালির এভারেস্ট জয়ের পর থেকেই তা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে পিয়ালির পাশে দাঁড়াতে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও শোনা গিয়েছে। তবে পিয়ালির সাফল্যে অভিনন্দন জানাতে দেখা গিয়েছে চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”পিয়ালির এই সাফল্য তো শুধু চন্দননগর নয়, এটা গোটা বাংলার সাফল্য। প্রথম মহিলা হিসাবে অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয় করে ভারতের মুখ ও উজ্জ্বল করেছে। এর আগেও ও যখন গিয়েছেন তখন আমার ও অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ক্রীড়া দফতর পাশে দাঁড়িয়েছিল। ওঁর আর্থিক সমস্যা মেটাতে সরকার আগে সাহয্য করেছে। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়েছি”। তবে এর আগে আর্থিক সঙ্কট নিয়ে পিয়ালির ভিডিও বার্তার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিধায়কের সাফ জবাব, “আমি এরকম কিছু জানিনা, শুনিনি”।

প্রসঙ্গত, এটাই পিয়ালির প্রথম চেষ্টা নয়। এর আগেও এভারেস্ট জয় করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে সেইবার ফিরে এসেছিলেন খুব কাছ থেকে। তবে অদম্য জেদের কাঁধে ভর করেই ফের ছুটে গিয়েছেন বন্ধুর পার্বত্য পথে। পিঠে ঋণের বোঝা বাড়লেও হার না মানা লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, এবারে এভারেস্টের ৮ হাজার ৪৫০ মিটার পর্যন্ত অক্সিজেন ছাড়াই ওঠে পিয়ালি। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাকি রাস্তা অক্সিজেনের সাহায্য নিতে হয়। পিয়ালির এই বিশ্বজোড়া সাফল্য়ের পর তাঁর ঋণ মুকুবের জন্য সরকারের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয় এখন সেটাই দেখার।