Calcutta High Court: ‘কিছু শব্দ অ্যাবসার্ড লেগেছে’, রাজভবন-কাণ্ডে বড় নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার
Calcutta High Court: মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার দাবি করেন, জোর করে ধরে রাখার ধারা কোনওভাবেই প্রযোজ্য নয়। ঘটনার ১৩ দিন পর অভিযোগ দায়ের হল কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। আইনজীবী উল্লেখ করেন, পুরো ঘটনা মামলাকারী জানেন বলে দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।
কলকাতা: রাজভবনের অন্দরে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। অস্থায়ী মহিলাকর্মীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার জেরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। রাজভবনের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় এবার তদন্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রমাণ নষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে রাজভবনে। ওএসডি-র বিরুদ্ধে পাঁচ দিন পর কেন অভিযোগ তোলা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি আদৌ আটকেছিলেন কি না সেটা তদন্তের বিষয় বলে মনে করছেন বিচারপতি। বিচারপতি সিনহা বলেন, এই মুহূর্তে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলে মূল তদন্ত প্রভাবিত হবে বলে মনে হয় না। আগামী ১৭ জুন রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।
মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার দাবি করেন, জোর করে ধরে রাখার ধারা কোনওভাবেই প্রযোজ্য নয়। ঘটনার ১৩ দিন পর অভিযোগ দায়ের হল কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। আইনজীবী উল্লেখ করেন, পুরো ঘটনা মামলাকারী জানেন বলে দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। তিনি আরও বলেন, “একবার বলা হচ্ছে ৩৪১ ধারা (আটকে দেওয়া) দেওয়া হয়েছে। আবার পরের লাইনে লেখা হচ্ছে, কোনও প্রকারে বেরিয়ে আসেন ওই মহিলা। রাজ্যপালের ঘরে যা হয়েছে সেটা মামলাকারী জানত, এমন মিথ্যে অভিযোগও করা হচ্ছে।”
বিচারপতি বলেন, কিছু শব্দ একটু অ্যাবসার্ড (অস্বাভাবিক) লেগেছে। তাই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিতে চায় আদালত। রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘অভিযোগ এলে, প্রাথমিকভাবে সেটা সত্যি ধরে নিয়ে ধারা যুক্ত করাই পুলিশের কর্তব্য। আদালতে এভাবে দ্রুত মামলা করার গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে না।’ এজি-র বক্তব্য, ‘মামলাকারীকে রক্ষাকবচ দিলে রাজ্যপালকে রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে মনে হবে।’