কলকাতা: সেই হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ দিয়ে শুরু। তার পর বঙ্গ বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। শান্তনুর সঙ্গে রয়েছেন একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ সেই বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরি করে দিল্লির কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে নালিশ ঠুকল রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। মঙ্গলবার এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।
বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশই ঘোরাল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়ছে। আর এই নালিশ ঠুকেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বিজেপি সূত্রে এমনটাই খবর।
গত কয়েকদিন ধরে অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের একাংশ তীব্র বিক্ষোভ করছেন। শহর জুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে হোর্ডিং পড়ে। এমনকী বনগাঁ লোকালস ট্রেনেও অমিতাভের নামে পোস্টার দেওয়া হয়। এই সব ছবিও এবং ভিডিয়োও নাকি দিল্লি বিজেপির কাছে ই-মেল মারফৎ পাঠিয়েছেন অমিতাভবাবু।
এছাড়া, কলকাতা পোর্ট টাস্টের গেস্ট হাউসের বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন, কোন কোন বিক্ষুব্ধ নেতা উপস্থিত ছিলেন, তারও একটি তালিকা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বিজেপির বিক্ষুব্ধদের বৈঠক নিয়ে শুরু হয় টানটান উত্তেজনা। বৈঠকের আগে পোর্ট ট্রাস্টের অতিথিনিবাসের সামনে টাঙানো হয় ব্যানার।
তাতে দেখা যায় ‘বিজেপিকে শেষ করে নিজেদের আখের গোছানো চলবে না। তৃণমূলের এজেন্ট পচা বিজেপি নেতারা সাবধান’। শনিবার রাজ্য বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠক শেষে দলের রাজ্য সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘চোখের সামনে দলকে শেষ হতে দেখতে পারবো না।’এও শোনা যায়, বিজেপি ভেঙে শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের নামে আলাদা দল তৈরি করতে পারেন এই বিক্ষুব্ধ নেতারা। এই প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে অভিযোগ করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী।
বিজেপির একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দিল্লি থেকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলে হয়েছে যে, এখন উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে সবাই ব্যস্ত আছেন। তাই সেই সব ভোটপর্ব চুকে গেলে দল এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: স্বজনপোষণ ও সিন্ডিকেট কাঁটায় বিদ্ধ কল্যাণ, ক্ষোভের আঁচ পৌঁছল হাই কোর্টেও