রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির জেরেই কি সরতে হল আরএসএস নেতা প্রদীপ জোশীকে

RSS: পূর্বাঞ্চল ক্ষেত্র অর্থাৎ বাংলা, ওড়িশা, অসম, সিকিম ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্র প্রচারক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির জেরেই কি সরতে হল আরএসএস নেতা প্রদীপ জোশীকে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2021 | 3:30 PM

কলকাতা: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র প্রচারক বদলের ইঙ্গিত আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে রবিবার সংঘের তরফে সে জল্পনাতেই সিলমোহর দেওয়া হল। সরানো হল প্রদীপ জোশীকে।

মধ্য প্রদেশের চিত্রকূটে শুক্রবার থেকে আরএসএস-এর পাঁচদিন ব্যাপী বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বয়ং সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির উত্থান কিংবা মুখ থুবড়ে পড়া এবং তার সঙ্গে আরএসএসের ভূমিকা সবটাই খতিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির কারণও সেখানে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর আরএসএস এর অন্দরে এটাও আলোচনা হয়েছে, ভোটের আগে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করানো ঠিক পদক্ষেপ ছিল না। তবে সে সব ব্যাপারে গুরুত্ব না দিয়েই একের পর এক যোগদান হয়েছে। এক সময় মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রদীশ জোশী। এই প্রদীপ জোশী আবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়রও বেশ ঘনিষ্ঠ। মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে একাধিকবার যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছিল জোশীকে।

দলের অন্দরেও এই নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল তখন। দলের পুরনো কর্মীরা সে নিয়ে সংঘকে জানিয়েও ছিলেন। এক সময় দলের অন্দরে এটাও প্রচার হয়ে গিয়েছিল, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও প্রদীপ জোশীর অঙ্গুলি হেলনেই দলের অন্দরে অনেক কাজ হয়েছে, যা দলের অনেকে ভাল ভাবে মেনে নিতে পারেননি। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে সব অভিযোগ খুব একটা আমল দেয়নি। আরও পড়ুন: বড়সড় বদল সংঘ পরিবারে, বিজেপির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষায় এবার ‘সম্পর্ক অধিকারী’ অরুণ কুমার

তবে বিজেপির হারের পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রদীপ জোশীর প্রসঙ্গ ফের উঠে আসে। এরই মধ্যে সংঘের পূর্বাঞ্চল ক্ষেত্র অর্থাৎ বাংলা, ওড়িশা, অসম, সিকিম ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্র প্রচারক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পাঠানো হয় চণ্ডীগঢ়ে। আপাতত পূর্ব ভারতের এই দায়িত্ব রমাপদ পালের হাতে ন্যস্ত করেছে সংঘ পরিবার। এ ছাড়াও জলধর মাহাতো কে আনা হয়েছে সহ ক্ষেত্র প্রচারক হিসাবে। জলধর মাহাতো দেখবেন কলকাতার প্রচার অভিযান। এ ছাড়াও প্রশান্ত ভট্টকে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত প্রচারকের দায়িত্ব। অর্থাৎ ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির ভরাডুবির পর এবার সংঘ পরিবারও রাজ্যে আরএসএসের খোলনলচে বদলে দিল।