SSC Recruitment Scam: বেআইনি নিয়োগের জন্য পার্থ-মুকুল চাপ দিতেন, আদালতে SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান
SSC Recruitment Scam: RC 3, RC 4, RC5 অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ, নবম দশম, গ্রুপ সি মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। শুক্রবারই প্রথম দিন। শুক্রবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে সাক্ষ্য নেওয়া হয় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। এদিন বিচারপ্রক্রিয়ার প্রথম শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ার ট্রায়াল শুরু। প্রথমদিন সাক্ষ্য দিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন তিনি। তাঁর দাবি, বেআইনি নিয়োগের জন্য তাঁর কাছে চাপ আসত। চাপ দিতেন মুকুল রায়। সাক্ষ্যগ্রহণে তিনি একথা বলেছেন। এমনকি তিনি এও বলেছেন, শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন পরোক্ষে চাপ দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। তিনি আরও দাবি করেছেন, এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বিষয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার আদালতে ৮ জন সাক্ষীর নাম জমা করেছে সিবিআই।
RC 3, RC 4, RC5 অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ, নবম দশম, গ্রুপ সি মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। শুক্রবারই প্রথম দিন। শুক্রবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে সাক্ষ্য নেওয়া হয় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। এদিন বিচারপ্রক্রিয়ার প্রথম শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। সিবিআই ৮ জন সাক্ষীর নাম জমা করে। এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ হয় বলে আইনজীবী জানিয়েছেন। এদিন থেকে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। একই দিনে তিনটি মামলার ট্রায়াল চলবে।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি ২০১১ সালের জুন মাস থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। এদিন আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, ‘‘আপনি কার কথায় এসএসসি চেয়ারম্যানের পোস্ট নিয়েছিলেন?’’ জবাবে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সিএম (মুখ্যমন্ত্রী) আমাকে জানান যে, আমাকে চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। তার পরেই আমি জয়েন করি।’’ তারপরই তিনি জানান, তাঁকে চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে কেন ২০১৩ সালেই পদ ত্যাগ করেন? জবাব তিনি তখন জানান, তাঁকে বেআইনি নিয়োগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তখনই তিনি মুকুল রায় ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পদে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেন।
এদিনের ট্রায়াল প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ফোনে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে। ২০১৬ সালে ডুপ্লিকেট ওএমআর শিটের কার্বন কপি দিলেই হয়ে যেত। ২০২৫ সালে যেভাবে দেওয়া হল। আর সে কারণেই যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হল না। যেটা ২০১২ সালে হত, সেটা ২০১৬ সালে তুলে দেওয়া হল, আবার ২০২৫ সালে নতুন করে আনা হল। “
