হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল আজ, শুক্রবার। কিন্তু তার আগেরদিনই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কালীপুজোর রাতে গোটা রাজ্যে নেমে আসে অন্ধকার। প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৭৫ বছরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান। সকালে রবীন্দ্রসদন হয়ে বিধানসভা ভবন, সেখান থেকে বালিগঞ্জের বাসভবন হয়ে এগডালিয়া এভারগ্রীন ক্লাব থেকে এ বার কেওড়াতলা মহাশ্মশানের পথে রাজ্যর সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রীর মরদেহ। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, মুনমুন সেন থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী নেতারাও। দক্ষ প্রশাসক, ইন্দিরা গান্ধীর স্নেহধন্য, রাজনীতির চাণক্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুরু’ আজ অন্তিম যাত্রায়। শেষকৃত্যে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী, তবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৌরভ গুহ: স্মৃতির তোড়ে কথা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। কী দিয়ে যে শুরু করি… আপনিই বলুন না সুব্রতদা । হাসছেন আপনি? হাসি উপচে পড়ছে। চোখ দুটো কুঁচকে আপনি হেসেই চলেছেন। আর বলছেন, “শুরুর কতাই যদি বলবে তো আমার কাচেই জিজ্ঞাসা কর, এ শহরের যত বান্দা দেক, আমি সবার খবর জানি। আমি হলাম গে ভূষণ্ডির কাক। কি বুচলে?” বলেই আবার হাসি। আবার কথার ফোয়ারা ছোটালেন। “শোনো আমি ভূতে বিশ্বাস করি, আর আধা ঘণ্টা সময় দিলে এমন করে বোঝাব যে তুমিও বিশ্বাস করবে।”
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: ‘মৃত্যুর পর দেহটা পড়ে থাকে, আত্মা পাঁচিলের উপর বসে বসে দেখে আর কাঁদে’
রাজা চট্টোপাধ্যায়: ৩১ মে ২০২১। একদম সকাল সকাল আমার হোয়াটসঅ্যাপে সুব্রত দার ‘সুপ্রভাত’। সঙ্গে আবার গোলাপি ফুলওয়ালা একটা গাছের ছবি! এই রে, শেষে সুব্রতদারও সকাল-সন্ধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ‘Good Morning’ ‘Good Night’ মেসেজ পাঠানোর অভ্যাস হল নাকি? জমাটি গল্প মানেই সুব্রতদা। কাজ করতেন ঢের কিন্তু সদাব্যস্ত কাজ-কাজ ভাব করতেন না। ২০০৫-এ মমতার সঙ্গে ঝগড়া করে বলেছিলেন, ‘আমি আর যাব না, যাব না, যাব না (TMC)।’ আর তৃণমূল নেত্রীর জবাব ছিল, ‘তোমাকে আর নেব না, নেব না, নেব না।’ সেই সুব্রতদাকেও ফের ফিরতে হয়েছিল তৃণমূলে। আর মমতাও ‘নেব না’ বলে শেষপর্যন্ত ফিরিয়ে-ই নিয়েছিলেন। সব সত্যি লিখে দিয়েছিলাম। তবু আঁতে লাগেনি সুব্রতদার। কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠকেও সেই সব অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূল নেত্রীর সামনেই।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: সুব্রত-কথা: ক্রুদ্ধ মমতার গর্জন ‘তোমাকে আর নেব না, নেব না, নেব না…’
পূর্ব বর্ধমান: ভূতের ভয় ছিল খুব। এতটাই যে ঘরের আলো জ্বালিয়ে মোবাইলে দেবী কালীর ছবি রেখে ঘুমোতে যেতেন। নয়ত, তাঁর ঘুম আসত না।এ হেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী, দুঁদে নেতা ছিলেন নাকি খোদ কালীর আশীর্বাদধন্য। এমনটাই মনে করতেন এলাকাবাসী। তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে আজও দেবী কালীকেই ভরসা করেছে কালনা মন্তেশ্বরের মণ্ডল গ্রাম। এই গ্রাম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: দেবী কালীর ‘কৃপাধন্য’ ছিলেন সুব্রত, তাঁর প্রয়াণেও দেবীস্মরণ গ্রামবাসীর
কলকাতা: সকাল থেকে বার কয়েক চেষ্টা চলছিল তাঁকে ফোনে ধরার। সুইচ অফ ছিল। বেশ অনেকক্ষণ। কিন্তু তাঁর প্রতিক্রিয়া না এলে তো সুব্রতমুখোপাধ্য়ায়ের প্রয়াণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ কিছুতেই পূর্ণ হয় না। তিনি প্রিয়-জায়া দীপা দাশমুন্সি। রাজনীতিতে প্রিয়-সুব্রত জুটিকে সবাই যেমন দেখেছেন তা অনেকটা দিনের আলোর মতো। কিন্তু ঘরোয়া আবহে কেমন ছিল সেই রসায়ন, তা জানালেন দীপা দাশমুন্সি। আরে সেই প্রতিক্রিয়াতেই উঠে এল স্মৃতিচারণা এবং বিস্ফোরক মন্তব্য। “সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দল পরিবর্তনের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি।” কিন্তু কেন? কী ঘটেছিল?
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: “সুব্রতদা অস্বীকার করে চলে যাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়দা”
পূর্ব বর্ধমান: পরিষদীয় কাজ। প্রশাসনিক কাজ। তারপরে ছিল ‘অনুরোধের আসর’। ব্যস্ততার শেষ ছিল না। তবুও নিয়মে কোনও খামতি ছিল না। মাঝেমধ্যেই নিজের আদিভিটেতে পা দিতেন রাজ্যের সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তাঁর ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এর কোনও পরিবর্তন হয়নি। পূর্বস্থলীর ১ নম্বর ব্লকরে নওয়াপাড়া গ্রাম আজ নিস্তব্ধ। আলোর উত্সবে আজ অন্ধকার এলাকা জুড়ে।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: দু’দণ্ড শান্তি দিত গ্রামের ভিটে, সুব্রত-প্রয়াণে কেবলই বেদনা নওয়াপাড়া জুড়ে…
কলকাতা: বিধানসভায় দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে সব্যসাচী দত্তের দলবদলে ‘কোনও মহাভারত অশুদ্ধ হয়নি’ বলে মন্তব্য রাজ্যের সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। যদিও একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক নেতার গেরুয়া শিবিরে যোগদান আবার ভোট মিটতেই তাঁদের ঘরওয়াপসি নাকি একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। এমনকি এহেন নেতাদের পাশে বসতেও অস্বস্তিবোধ করতেন তিনি। নিজেই সেকথা Tv9 বাংলায় ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন সুব্রত।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: দলবদলুদের পাশে বসতে অস্বস্তি হত সুব্রতর, মনে করতেন এঁদের নৈতিকতা নেই
কলকাতা: গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে। দুইমিনিটের নীরবতা পালন সকল তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ও কর্মী সমর্থকদের। উপস্থিত ছিলেন সুব্রতর পরিবারের সদস্যরা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সৌগত রায়, সুজিত বসু, সায়নী ঘোষ প্রমুখরা। গান স্যালুটের পর অন্ত্যেষ্টির পথে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। না ফেরার দেশে চললেন মমতার এভারগ্রিন ‘সুব্রত দা’।
কলকাতা: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে এসে পৌঁছল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শববাহী-শকট। দেহ নামিয়ে আনার পর, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তত্পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিমা চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র ও অন্যান্যরা। উপস্থিত হয়েছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করলেন তিনি। গান স্যালুট দিয়ে বিদায় জানানো হল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে।
কলকাতা: এগডালিয়া থেকে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের পথে। শেষযাত্রায় রয়েছেন অসংখ্য গুণমুগ্ধরা। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ। অন্যদিকে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁঁছে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুট দেওয়া হবে তাঁকে।
কোচবিহার: রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে গিয়েও ব্যক্তিগত সুসম্পর্কে বিশ্বাসী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের বর্ষীয়ান এই মন্ত্রীর প্রয়াণের পর বার বার সে কথাই শোনা গেল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস নেতাদের মুখে। সকলেরই সুব্রতবাবুর সঙ্গে মধুর স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। তাঁর চলে যাওয়ার পর ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসছে সেই সব কথাই। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এক সময় তৃণমূল করলেও বর্তমানে বিজেপিতে। তবে দল বদলের পরও সৌজন্যে যে বদল আসেনি, ভাগ করে নিলেন সেই স্মৃতিই।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: ‘সেদিনও শপথ নিয়ে বললাম দাদা আশীর্বাদ নিতে পারি? চেয়ার ঘুরিয়ে দু’পা বাড়িয়ে বললেন প্রণাম কর’, স্মৃতিমেদুর মিহির
কলকাতা: শেষবারের জন্য নিজের বাসভবনে ফিরলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে, মৃত্যুর পরে। একডালিয়া এভারগ্রীন ক্লাবের পক্ষ থেকে তাদের ‘প্রিয় দাদাকে’ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অগুনতি মানুষের ভিড়। যেদিকে তাকানো যাচ্ছে, কেবলই দেখা যাচ্ছে পিল পিল করছে কালো মাথা, আর সাদা ফুলের মালা। প্রতিবছর এগডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো নজর কাড়ে সাবেকিয়ানায়। গোটা পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন খোদ সুব্রত। কালীপুজোতেও বলেছিলেন, হাসপাতাল থেকে ফিরে দেবীদর্শন করেই ঘরে ফিরবেন। কিন্তু, সে ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
কলকাতা: আগেই বলেছিলেন তিনি থাকবেন না। অগ্রজপ্রতিম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ তাঁর পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। না, শুক্রবার সকাল থেকে আর দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার রাতেই বলেছিলেন, ”জীবনে অনেক লড়াই করেছি। অনেক ঝড়ঝাপ্টা সয়েছি। কিন্তু, কালীপুজোর দিন এমন অন্ধকার নেমে আসবে ভাবিনি। সুব্রতদা’র মরদেহ আমি দেখতে পারব না।” সেইমতো, রবীন্দ্রসদন হয়ে একডালিয়া হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশানেও যাবেন না তৃণমূল নেত্রী। তবে, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম: ছ’য়ের দশকে রাজনীতির আঙিনায় পা। সাতের দশকে ভোটে লড়াই, জেতা। সেই কলেজ জীবনে রাজনীতির ময়দানে পা ফেলেছিলেন। শেষ দিন অবধি ক্রিজ ছাড়েননি সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। ‘এভারগ্রিন’ সুব্রত। যে সকল রাজনীতিকদের সঙ্গে তাঁর প্রথম জীবন থেকে পরিচিতি, তার মধ্যে অন্যতম নাম সিপিএমের বিমান বসু। বর্ষীয়ান এই বাম নেতা তখন তারুণ্যের লালচে আভায় রাঙা, সুব্রতও সবুজ। রাজনৈতিক আদর্শে মত পার্থক্য থাকলেও কোনও দিনই সৌজন্যে সুব্রত কার্পণ্য করেননি। ঝাড়গ্রামে বসে সে সব দিনের কথা আজ বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে বিমানের।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: তারুণ্যে রাঙা বিমানকে যাত্রা দেখতে যাওয়ার টিকিট পাঠিয়েছিলেন সবুজ সুব্রত
কলকাতা: প্রতিপক্ষ। কিন্তু তিনিই তাঁর রাজনৈতিক গুরু। কীভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) সঙ্গে তাঁর পরিচয়, কীভাবে তিনি তাঁর গুরু হয়ে উঠেছিলেন, এই সব অনেক অজানা কথা আজ TV9 বাংলাকে জানালেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
বিস্তারিত পড়ুন: Arjun Singh On Subrata Mukherjee: ‘আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন…’, শিষ্য অর্জুনকে বড় ‘ব্রেক থ্রু’ দিয়েছিলেন সুব্রতই
কলকাতা: কালীপুজোর পরদিনের সকালটা এমনিতেই একটু অন্যরকম হয়। হালকা শীতের আভাস, মিঠে কড়া রোদে খুব দূরে কোথাও মন খারাপের বাঁশি বাজে। শুক্রবারও তেমনই সকাল। মন খারাপ আরও গাঢ় বালিগঞ্জের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। বাড়ির ছেলেটাই যে চলে গেল! এ বাড়িতেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অফিস। প্রতিদিন অগনিত মানুষ এসে ভিড় করেন অফিস ঘরে। সাদা ধবধবে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা চেয়ারে এসে বসেন সুব্রত। মাঝে টেবিল। ওপারে সাজানো চার-পাঁচটি চেয়ার। লোকজন এসে সমস্যার কথা বলেন, রাজনীতির কত আলোচনা-পরিকল্পনা হয়। চায়ের আড্ডা, তর্ক, রণনীতি নির্ধারণ, কত কিছুর সাক্ষী এই ঘরটা।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: সাদা তোয়ালেয় ঢাকা চেয়ার, টেবিলে খোলা খাতা, মাস্ক! সুব্রতহীন বালিগঞ্জের অফিসও থম মেরে
কালীপুজোর পরদিনের সকালটা এমনিতেই একটু অন্যরকম হয়। হালকা শীতের আভাস, মিঠে কড়া রোদে খুব দূরে কোথাও মন খারাপের বাঁশি বাজে। শুক্রবারও তেমনই সকাল। মন খারাপ আরও গাঢ় বালিগঞ্জের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। বাড়ির ছেলেটাই যে চলে গেল!
সবিস্তারে পড়ুন: সাদা তোয়ালেয় ঢাকা চেয়ার, টেবিলে খোলা খাতা, মাস্ক! সুব্রতহীন বালিগঞ্জের অফিসও থম মেরে
কলকাতা: বিধানসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে আসার পর তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। স্লোগান ওঠে, ‘সুব্রত মুখার্জি অমর রহে, ভুলছি না ভুলব না’। এদিন, রাজ্যপাল বলেন, “একজন নম্র বিনয়ী রাজনীতিক। বঙ্গ রাজনীতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। এই ক্ষতি অপূরণীয়। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
কলকাতা: বিধানসভায় পৌঁছল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। চোখের জলে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন সতীর্থরা। শেষবারের মতো বিধানসভার অলিন্দে আনা হল দাপুটে রাজনীতিকের দেহ। আর বিধানসভায় দেখা যাবে না ধুতি-পাঞ্জাবী-পাম্প শ্যু পরিহিত সদাহাস্যময় চেহারাটি। বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
কলকাতা: বিধানসভার পথে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। দীর্ঘ ৫০ বছরের পরিষদীয় জীবনের শেষ বিদায়ের জন্য বিধানসভায় অপেক্ষা করছেন বিধায়ক নেতা মন্ত্রীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ইতিমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিধানসভায়। গাড়ির মধ্যে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা: সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে এলেন তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিন জুন মালিয়া বলেন, “সুব্রতদা’র থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। সেসব আর শেখা হল না। আমার কিছু বলার ভাষা নেই।” অন্যদিকে, রাজ চক্রবর্তী বলেন, “সুব্রতদার হাত থেকেই দলের পতাকা নিয়েছিলাম। ওঁর থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। সেসব কিছুই রহল না।” তৃণমূল নেত্রী ও অভিনেত্রী সায়ন্তিকার কথায়, “আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন। কিছুদিন আগেও বাঁকুড়াতে গিয়েছিলেন। আমরা যারা নতুন, আমাদের অনেক কিছু শেখা বাকি থাকল।”
কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁরা পরিচিত ছিলেন ‘থ্রি মাসকেটিয়ার্স’ নামে। তাঁরা অর্থাত্ সোমেন মিত্র, প্রিয় দাশমুন্সি ও কনিষ্ঠতম সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই অধ্যায় অবশেষে শেষ! অন্তিমের পথে যাত্রা করলেন সুব্রত। সোমেন ও প্রিয়রঞ্জন দাশমুুন্সি আগেই চলে গিয়েছেন। বাঙালি রাজনৈতিক ট্র্যাডিশনই চিরকাল বহন করে এসেছিলেন এই তিন নেতা।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: ‘গুরু’ প্রিয়র হাত থেকে নিয়েছিলেন ধুতি ও পাঞ্জাবী, জীবনভর ‘সু’-ব্রতই পালন শিষ্যের
কলকাতা: রাজ্যের সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে বাম নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে আলাপের সুযোগ ছিল না। তবে তিনি মেয়র হওয়ার সুবাদে একটা পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে যায়। সেই সম্পর্ক ছিল।” অন্যদিকে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “ওঁ আমার বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে থাকতেন। দেখা হলে কথা বলতেন সৌজন্য বিনিময় করতেন আমিও কথা বলতাম। বিরোধী দলের নেতা বলে কোনওদিন কথা বলেননি বা সুসম্পর্ক রাখেননি এমনটা কোনওদিনই নয়।”
কলকাতা: রবীন্দ্রসদনে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে পৌঁছলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
কলকাতা: একসঙ্গে সেলুলয়েডের পর্দায় কাজ করেছেন তাঁরা। সেই থেকে আলাপ। স্মৃতিই কেবল সঙ্গী এমনটা নয়। নিত্যদিনের যোগাযোগ। তৃণমূলে যোগদানও ‘সুব্রতদার’ হাত ধরে। অবশেষে সব শেষ! রাজ্যের সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অন্তিমযাত্রায় শ্রদ্ধা জানাতে এসে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। কোনওরকমে বললেন, “কথা বলব কার সঙ্গে! কথা বলার মানুষটাও আর রইল না।” ব্যস! এটুকুই! শ্রদ্ধা জানিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেলেন রবীন্দ্রসদন ছেড়ে। অন্য়দিকে, রবীন্দ্র সদন চত্বর জুড়ে রাজনীতিকদের ভিড়। মদন মিত্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিকরাও আসেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। তবে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই বলেছিলেন, “যাদের আমি ভালবাসি তাদের এভাবে আমার দেখা সম্ভব নয়। সুব্রতদার মরদেহ আমি দেখতে পারব না।”
রবীন্দ্রসদনে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন মুনমুন সেনের। একসঙ্গে সুব্রত-মুনমুন সেন।
কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে তাঁরা সতীর্থ ও সমসাময়িক। একসঙ্গে সংগঠন করেছেন। রেষারেষি ছিল। ভাবও। সত্তরের দশকের ‘দামাল’ ছেলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে কেবল শূন্যতাই অনুভব করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বন্ধুর প্রয়াণ ও স্মৃতির ভিড় এখন প্রবীণ নেতার চোখে। টুইট করে জানিয়েছেন শোকবার্তা। স্পষ্টই বলেছেন, “আমাদের ঝগড়া হত, আবার ভাব হত”।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee: ‘কলকাতার মেয়র হওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল…’, রেষারেষিতে রাখঢাক ছিল না, স্মৃতি-সফর শোভনদেবের
বালিগঞ্জের বাড়ি আজ শুনশান। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির অফিস ঘর এখনও সাজানো টিপটপ। টেবিলে রাখা রয়েছে একাধিক জরুরি কাগজ, পেন। রাখা রয়েছে একটি মাস্কও। চেয়ার ফাঁকা, উল্টোদিকের চেয়ারগুলোও ফাঁকা। বাড়িতে আজ আত্মীয়, প্রতিবেশী-আপনজনেদের ঢল।
প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষশ্রদ্ধা জানালেন দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামানিক। দিলীপ ঘোষ বললেন, “সুব্রতবাবু ব্যক্তিগতভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন।”
দাদার কপালে আর ফোঁটা দেওয়া হল না… TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। আজ বাড়ি ফেরার কথা ছিল মন্ত্রীর। ঠিক ছিল, কাল শুধু ফোঁটা নেবেন। পরে খাওয়া-দাওয়া। তার আগেই সব শেষ। না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ভাইফোঁটার দুদিন আগেই বোনেদের জীবনে নেমে এল অন্ধকার।
রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র। রসবোধ সম্পন্ন নেতা ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।”
রবীন্দ্রসদনে শায়িত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিশিষ্ট জনেরা। বঙ্গ রাজনীতিতে গভীর শূন্যতা। দুপুর ২টোর পর বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে দেহ।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলছেন, কোনও চিকিত্সক ছিলেন না। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কোথায় ছিলেন চিকিত্সকেরা? শহরের অন্যতম সরকারি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের পরিকাঠামো কেমন? অন্যদিন সন্ধ্যায় সিনিয়র চিকিত্সকরা থাকেন? নাকি কালীপুজোর সন্ধ্যা বলেই কেউ ছিলেন না? একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা অস্বীকার করছে না। তাঁরা বলছেন, ঘটনার সময়ে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা ওয়ার্ডে ছিলেন না। সন্ধ্যেবেলার রাউন্ড শেষে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখে যান তাঁরা। সন্ধ্যার পর যে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতে পারে, এমন কোনও ইঙ্গিতই পাননি বিশেষজ্ঞরা। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, যখন সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে এসেছিলেন, তাঁর হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল।
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: ‘সিনিয়র ডাক্তাররা ছিলেন না’, বিস্ফোরক অভিযোগ অস্বীকার করেনি, তবে মন্ত্রীর মৃত্যুতে অন্য যুক্তি এসএসকেএমের
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee Passes Away) প্রয়াণের পর প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM)। মন্ত্রীর অবস্থার অবনতি হওয়ার সময় ছিলেন না কোনও সিনিয়র ডাক্তার । বিস্ফোরক অভিযোগ প্রয়াত মন্ত্রীর আইনজীবী তথা সঙ্গী মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। কী বলছেন তিনি? আইনজীবীর বিস্ফোরক অভিযোগ, “জুনিয়র ডাক্তাররা এসে পাম্প করছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা ছিলেন না। যখন ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কেউ ছিলেন না।”
বিস্তারিত পড়ুন: Subrata Banerjee Passes Away: ‘সিনিয়র ডাক্তাররা ছিলেন না’, কালীপুজোর সন্ধ্যা বলেই কি এমন? সুব্রতর আইনজীবীর বিস্ফোরক অভিযোগ
রাজনীতিতে তাঁরা দু’জনই ছিলেন একের অন্যের বিপরীত। রাজনৈতিক কারণে একে অন্যকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন একাধিকবার। কিন্তু গতকালের ‘খারাপ খবর’ শুনে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
গতকাল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণে একটি ভিডিয়ো বার্তায় শোকপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এক রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মাননীয় সুব্রতবাবু স্বর্গীয় হয়েছেন। ছাব্বিশ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রী সভাতে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই যুগ থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম প্রধান মুখ। একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় ইন্দিরা গান্ধীর কাছের মানুষ ছিলেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এবং ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। সঙ্গে ওনার পরিবারের যাঁরা রয়েছেন ঈশ্বর তাঁদেরকে দুঃখ সহ্য কারার মতো শক্তি দিক এই প্রার্থনা করি। ”
ইতিমধ্যেই পিস ওয়ার্ল্ডে উপস্থিত হয়েছেন একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সদস্যরা। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁরা।
সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে প্রয়াত মন্ত্রীর দেহ রওনা দেবে রবীন্দ্র সদনের উদ্দেশে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তত্পরতা। কলকাতা পুলিশের তরফেও তত্পরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে এসেছে একের পর এক শোকবার্তা। বিরোধী থেকে শাসকদল। কেউ যেন মেনে নিতে পারছেন না ‘শান্ত মানুষটির’ চলে যাওয়া। শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি।
স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভাবতেই পারছি না। ১ তারিখ গিয়েও হাসপাতালে দেখা করে এলাম। বেশ খোস মেজাজেই ছিলেন। অনেক গল্প করলেন আমার সঙ্গে। কিন্তু এমনটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। কী খারাপ লাগছে। প্রিয়দা, সৌমেনদা, সুব্রতদা একে একে প্রত্যেকে চলে গেলেন। একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল বাঙলায়। বাঙলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। ” কংগ্রেস দলনেতা আরও বলেন,”ওঁনার যোগ্যতা, বিচক্ষণতা এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হাসিখুশি থাকার এই গুণাবলীর কোনও তুলনা হয় না। এবং প্রত্যেককে হাসি-খুশি রাখার যে গুণাবলী তার কোনও তুলনা হয় না। সুব্রতদা থাকা মানেই সেখানে আনন্দ হবে, হাসির রোল উঠবে, গল্প হবে মজা হবে, সিরিয়াস কথাও হবে। এক বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ ছিলেন তিনি । বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেল।” দুঃখ প্রকাশ করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ” ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।”
সুব্রত মুখোপা্ৃধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। পুরনো অনেক কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, “বিধান সভায় যাওয়ার পর ওঁর সামনা সামনি হয়েছি। ১৬ সাল থেকে তিন বছর ছিলাম। অনেকবার দেখা হয়েছে বিএ কমিটিতে বসে এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া হত। এত বছর বয়সে ওঁ মিষ্টি খেতেন খুব। বিধান সভার মধ্যে বেঞ্চে বসে অনেক্ষণ আলোচনা হয়েছে। ওঁ যে ধরনের মজার মজার কথা বলতেন, সোজাসাপটা বলতেন, এটা যেমন আনন্দদায়ক ছিল, মজারও ছিল তেমনই শিক্ষারও ব্যাপার ছিল। নিঃসন্দেহে এরকম ব্যক্তি চলে যাওয়া রাজনীতিতে বড়ো একটা গ্যাপ তৈরি হল।”
বিস্তারিত পড়ুন: Dilip Ghosh On Subrata Mukherjee: ‘একসঙ্গে বসে খেয়েছি, গল্প করেছি কত! খুবই মিষ্টি খেতে ভালবাসতেন’, সুব্রতর স্মৃতিচারণায় নস্ট্যালজিক দিলীপ
সকাল ১০টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সেখানেই রাখা থাকবে দেহ। বিধানসভা হয়ে দুপুর ২টোর পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। একডালিয়া ক্লাব হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে প্রয়াত রাজনীতিকের শেষ কৃত্য।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য সরকার আজ, সরকারি কার্যালয়গুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেছেন, “সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।”