Suvendu Adhikari: ‘রাজ্য সরকারের সব ব্যস্ত রেড রোডে’, উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু বলেন, "উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও এই সংখ্যা বাড়তে পারে। বিশাল বিপর্যয়। ওই এলাকায় যেভাবে ধস নেমেছে, সকলের যাওয়া সম্ভব নয়। এনডিআরএফ, আইটিবিপি-র জওয়ানরা কাজ করছেন। গ্রাউন্ড জিরোয় রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্য সরকারের সব রেড রোডে ব্যস্ত।"

কলকাতা: উত্তরবঙ্গে এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আর্জি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুর্গতদের কাছে জল-খাবার-ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ঘরছাড়াদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষদের এই পরিস্থিতি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা কর্তব্য বলে নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
একদিকে যখন উত্তরবঙ্গে চরম বিপর্যয়, তখন রেড রোডে চলছে পুজোর কার্নিভাল। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তোপ দাগতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও এই সংখ্যা বাড়তে পারে। বিশাল বিপর্যয়। ওই এলাকায় যেভাবে ধস নেমেছে, সকলের যাওয়া সম্ভব নয়। এনডিআরএফ, আইটিবিপি-র জওয়ানরা কাজ করছেন। গ্রাউন্ড জিরোয় রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্য সরকারের সব রেড রোডে ব্যস্ত।”
তবে তিনি এটাও বলেন, “এখন তো অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের সময় নয়। তরাই ডুয়ার্সের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমি আমার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্য়সচিবের কাছে আর্জি জানিয়েছি। সেখানেও গ্রাউন্ড জিরোর ভিডিয়ো দিয়েছি। কেন্দ্রের তরফ থেকে চেষ্টা চলছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ”
যদিও TV9 বাংলার কনসাল্টিং এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে বলেন, “আমি শিলিগুড়ি যাব। কালই যাব।” তবে কার্নিভাল প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু সব প্রস্ততি হয়ে গিয়েছে, দেশ বিদেশের অনেক অতিথি এসে গিয়েছেন, তাই সেটা বাতিল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আবার নদী ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “নদী ভাঙন হয়, এটাকে পাঁচিল ফেলে, বোল্ডার ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সেটা আগে করে দেখার। বাংলার মধ্যে সবথেকে প্ল্যানড সিটি কোচবিহার। সেই এলাকায় সব ওয়ার্ডে জল ঢুকেছে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের অবস্থা তথৈবচ। কোচবিহারের নিকাশি ব্যবস্থা তো সরকার করে দিয়ে যায়নি, সেটা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দখলদারি তৃণমূল কংগ্রেস নেয়নি। এই প্রথম কোচবিহারের এই অবস্থা।”
লাগাতর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত। দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে একাধিক সেতু। বহু এলাকায় ধস। ধসে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পাহাড়, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। নাগরাকাটাতেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
