Suvendu Adhikari: ‘যাদবপুর থেকে ওদের চুলের মুঠি ধরে টেনে পাকিস্তানের ড্রোনে বেঁধে ফেলে দিয়ে আসব’, নাম না করে বামেদের নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীপ্সিতা ধর নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টও করেন। সেই পোস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই সূত্রেই তিনি নাম না করে বিঁধলেন বামেদের।

কলকাতা: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা, তার জেরে ভারত পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি। চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কিন্তু এই যুদ্ধ আবহে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে সমান্তরাল বিভাজন! সিপিএম প্রথম থেকেই তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে, যে তারা যুদ্ধের পক্ষে নয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু সে কথা আগেই স্পষ্ট করেছেন। একই কথা বলেছেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যুদ্ধ আবহে সিপিএমকে বড় বার্তা দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো হুমকির সুরে বললেন, “ক্ষমতায় এলে যাদবপুর থেকে ওদের চুলের মুঠি ধরে উৎখাত করব।”
শুভেন্দুর কথায়, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যেমন ওখানে চলছে, ২০২৬এ বাংলার ভিতরেও এই ভারত বিরোধী টুকরে টুকরে গ্যাঙের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা উচিত। বিজেপিকে যদি বাংলায় মানুষ আনে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাদবপুর থেকে তাদের চুলের মুঠি ধরে পিটাতে পিটাতে ভারতবর্ষের সীমান্তের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানে ড্রোনে বেঁধে ফেলে দিয়ে আসব।”
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীপ্সিতা ধর নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টও করেন। সেই পোস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই সূত্রেই তিনি নাম না করে বিঁধলেন বামেদের।
উল্লেখ্য, বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, কাশ্মীরে জঙ্গিহানার জবাবে ইন্ডিয়ান আর্মি প্রাথমিকভাবে যে কাজটা করেছে, সেটা ভাল। তবে এখন যুদ্ধের পরিবর্তে দর কষাকষি করা উচিত।” অন্যদিকে, সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য সরকার যা যা ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে, আমরা সমর্থন করব। কিন্তু জঙ্গিবাদ নয়। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে দাবি উঠছে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেও, এটা সভ্য সমাজে বলা যায় না।”

