Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা পোস্ট করছেন, বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন…’, এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু

Kanishka Maity | Edited By: Soumya Saha

Jun 08, 2024 | 10:06 PM

Suvendu Adhikari: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টি আসন ছিল বিজেপির। এবার সেখান থেকে কমে হয়েছে ১২। পাঁচ বছরের ব্যবধানে কী এমন হয়ে গেল? কেন আসন কমল বিজেপির? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল চর্চা শুরু হয়েছে। কাঁটাছেড়া চলছে। এসবের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Suvendu Adhikari: যাঁরা পোস্ট করছেন, বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন..., এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নন্দীগ্রাম ও কলকাতা: লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে যেমন ফল আশা করেছিল বিজেপি, তা হয়নি। আসন আগের তুলনায় কমেছে। জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টি আসন ছিল বিজেপির। এবার সেখান থেকে কমে হয়েছে ১২। পাঁচ বছরের ব্যবধানে কী এমন হয়ে গেল? কেন আসন কমল বিজেপির? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল চর্চা শুরু হয়েছে। কাঁটাছেড়া চলছে। এসবের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার বিকেলে নন্দীগ্রামের সোনাচুড়ায় মনসা বাজার এলাকায় মৃত দলীয় সমর্থকের বাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে ২০১৯ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের ফারাক বোঝাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ২০১৯ সালের ভোটের সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছিল না। তিনি বলেন, “যারা এখন কথা বলছেন। পোস্ট করছেন। বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন। তাঁরা মনে হয় অতীতটা জানেন না। ২০০৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৯টি আসন থেকে ১টি আসন হয়ে গিয়েছিল। সেদিনের থেকে তো আজ বিজেপির অবস্থা অনেক ভাল। ২০১৯ সালে আই প্যাকও ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও ছিল না। এনআরসি-সিএএ-র নামে মুসলিমদের ভয় দেখানোও ছিল না। পুলিশ এরকমভাবে দাঁত-নখ বের করে পার্টির ক্যাডারের মতো আচরণও করেনি।”

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি রাজ্য সরকার চালু করেছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। এবারের বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ভাতার অঙ্কও বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কও একটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আজ শুভেন্দুও বলেন, ‘৩০ শতাংশ ভোটার (সংখ্যালঘু ভোট) তো আমাদের ভোট দেননি। ওঁরা তো ইমাম সাহেবদের কথায় ভোট দিয়েছেন।’

কিন্তু তারপরও বিজেপি যে ভোট শতাংশ কিছুটা বাড়িয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এ লড়াই থামার লড়াই নয়। লড়াই আমরা চালিয়ে যাব। বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে বিজেপি। ৩৯ শতাংশ ভোট এসেছে। বিজেপির ভোট বেড়েছে। নিশ্চিতভাবে আমরা সংখ্যার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ৪২ শতাংশ ভোট পাব। আমরা খুশি হতাম যদি ১২ উল্টে ২১ হয়ে যেত।”

Next Article