AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhabanipur: পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডেই প্রথম গেল জগন্নাথের প্রসাদ, গুজরাটি ভাষায় সব বোঝালেন কাউন্সিলর

Bhabanipur: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভার এই ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮৬৫টি ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে বিজেপির তুলনায়।

Bhabanipur: পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডেই প্রথম গেল জগন্নাথের প্রসাদ, গুজরাটি ভাষায় সব বোঝালেন কাউন্সিলর
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2025 | 8:47 AM
Share

কলকাতা: ভবানীপুর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, দুটিতেই ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বড় ব্যবধানে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল বিজেপির তুলনায়। আর সেই পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ড থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ বিলি শুরু হল কলকাতায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোট অঙ্ক সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গুজরাটি সহ একাধিক ভাষাভাষি ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন ভবানীপুরের এই ওয়ার্ডে। শুক্রবার সেখানেই প্রথম প্রসাদ বিলি করা হল। এলাকার কাউন্সিলর অসীম বসু এদিন প্রসাদ বিলির শুরুতেই গুজরাটি সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রসাদের প্যাকেট তুলে দেন। গুজরাটি ভাষায় বুঝিয়ে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাদ পাঠিয়েছেন।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভার এই ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮৬৫টি ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে বিজেপির তুলনায়। ভবানীপুর বিধানসভায় ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডেই বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।

তাই প্রশ্ন উঠেছে, প্রথম এই ওয়ার্ডকেই বেছে নেওয়ার পিছনে কি ভোট ব্যাঙ্ককেই গুরুত্ব দিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব? এলাকার কাউন্সিলর অবশ্য এর মধ্যে ভোট অঙ্ক খুঁজছেন না। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাফিক প্রসাদ সবার কাছে পৌঁছবে। এর মধ্যে ভোট খুঁজছেন কেন?”

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নির্বাচন শিয়রে। গুজরাটি সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওয়ার্ড, তাও আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায়। মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ভোটগুলোকে আবার শাসকদলের ঝুলিতে নিয়ে আসার মূল দায়িত্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থেকে নেতাদের। সেই কারণেই গুজরাটি সম্প্রদায়ের মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে গুজরাটি ভাষায় কথাও বললেন কাউন্সিলর।

মুখে হাসি নিয়ে এলাকার বাসিন্দারাও কাউন্সিলরের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন গুজরাটি ভাষাতেই। শুধু গুজরাটি নয়, এলাকার বহু অবাঙালি পরিবারে গিয়ে এদিন প্রসাদ নিয়ে হাজির হন এলাকার কাউন্সিলর।