Tab: ‘…অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করুন’, ট্যাবের টাকা নিয়ে নবান্ন থেকে এল কড়া বার্তা

Nabanna: সোমবার প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তার নির্দেশ দেন। মুখ্যসচিব স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, "আমাদের সিস্টেমকে আরও উন্নত করতেই হবে। তার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার করুন।"

Tab: '...অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করুন', ট্যাবের টাকা নিয়ে নবান্ন থেকে এল কড়া বার্তা
ট্যাবের টাকা যাচ্ছে কোথায়?Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2024 | 8:15 PM

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে ট্যাবের টাকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। কোনও-কোনও পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পাচ্ছে না। কারও অ্যাকাউন্টে আবার দু’বার করে ঢুকেছে টাকা। এবার ময়দানে নবান্ন। সোমবার মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ছিল নবান্নে। সেখান থেকে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উপস্থিতিতেই এই নির্দেশ দেন মনোজ পন্থ।

সোমবার প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তার নির্দেশ দেন। মুখ্যসচিব স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “আমাদের সিস্টেমকে আরও উন্নত করতেই হবে। তার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার করুন।” এখানেই শেষ নয়, মুখ্যসচিব এও নির্দেশ দিয়েছেন, “ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকগত ভাবেও পদক্ষেপ করতে হবে।”

এর বাইরেও যা যা আলোচনা হয়েছে…

১) আগামী বছর থেকে সব পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করতে হবে।

২) যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার কথা নয়,অথচ সেগুলিতে টাকা গিয়েছে তা সে ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃত,সেগুলি ফ্রিজ করতে হবে।

৩) প্রায় ১.৫০ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা এভাবেই গরমিল হয়েছে বলে বৈঠকে তথ্য পেশ করা হয়েছে। যে অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও পর্যন্ত টাকা পৌঁছয়নি সেগুলিতে দ্রুত টাকা দেওয়ার নির্দেশ।

৪) বিভিন্ন স্কুলে একাধিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এই ঘটনায় অভিযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। এই ধরনের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে যে পাসওয়ার্ড থাকে,সেটি লিক হয়েছে। যার পিছনে রয়েছে একাধিক অসাধু ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

৫) ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে স্কুলের যে ডাটা সেগুলি সঠিকভাবে মিলিয়ে টাকা বণ্টন করা হয়নি। যে কারণে এই ধরনের বড়সড়ো বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে।