Tapas Mondal: কালো ডায়েরিতে সাংকেতিক নামের আড়ালে কারা? আজ তাপস-কুন্তলকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরার সম্ভাবনা
Tapas Mondal: তাপসের কথায়, "নীলাদ্রি আমার একজন পরিচিত। আমার কাছে আসে, এই... আমি কোনওদিনও কুন্তলের ফ্ল্যাটে থাকিনি।" তিনি যে কুন্তলের থেকে টাকা চেয়েছিলেন, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, "টাকা তো চাইবই, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ও যে টাকা নিয়েছিল, সেই টাকাই আমি চেয়েছি। "
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ইডি-র তলবে মঙ্গলবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্ষ ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে কুন্তল, গোপাল দলপতি, নীলাদ্রি ঘোষ-সহ একাধিকজনের নাম। এই নামগুলো নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে, দুর্নীতিতে তাঁদের কী ভূমিকা, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে নীলাদ্রিকে যে তাপস চেনেন, তা স্বীকার করে নেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তাপস। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময়ে তাপসকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি নীলাদ্রি নামের কাউকে চেনেন কিনা। তিনি অস্বীকার করেননি। তাপসের কথায়, “নীলাদ্রি আমার একজন পরিচিত। আমার কাছে আসে, এই…। আমি কোনওদিনও কুন্তলের ফ্ল্যাটে থাকিনি।” তিনি যে কুন্তলের থেকে টাকা চেয়েছিলেন, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “টাকা তো চাইবই, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ও যে টাকা নিয়েছিল, সেই টাকাই আমি চেয়েছি। ”
ইডি-র নজরে রয়েছে যুব নেতা কুন্তলের কালো ডায়েরিও। যুব নেতার ডায়েরিতে সঙ্কেতের আকারে মিলেছে একাধিক নাম। সেই সূত্র ধরেই তাপস মণ্ডলকে এদিন ফের তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডল ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত নামের আড়ালে কারা লুকিয়ে, সেই বিষয়টিই খুঁজে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
চার্জশিটে তাপস মণ্ডলকে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবেই উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। তাপস মণ্ডল বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বারবার এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, তিনি কোনওভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মাধ্যমে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। যাঁরা কিনা টাকার বিনিময়ে বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন। সেই প্রসঙ্গেই নাম উঠে আসে কুন্তল ঘোষের। তিনি অভিযোগ করেন, কুন্তল ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষেরও বেশি টাকা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে কুন্তল যে এত টাকা তুলেছেন, তা দাবি করেন তাপস। এবং সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি তিনি ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই অভিযোগের পক্ষে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পান তদন্তকারীরাও। তাঁরা এরপর কুন্তলকে গ্রেফতার করেন।
হেফাজতে যাওয়ার পর অবশ্য কুন্তল দাবি করতে থাকেন, তাপস মণ্ডল, তাপস ঘনিষ্ঠ নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতিরাই এই গোটা চক্রের মূল মাথা। এক্ষেত্রে তদন্তকারীরা মনে করছেন, হয়তো তাপস কোনও তথ্য গোপন করছেন, অথবা কুন্তল তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই জায়গা থেকেই তাপস ও কুন্তলকে সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তল তাপস সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছেন, সেগুলিকেও যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।