Governor: বাংলা ভাসবাসেন, কিন্তু বাংলার ভোটার হতে আগ্রহী নন রাজ্যপাল
Governor C V Anand Bose: চলতি এসআইএ-এ রাজ্যেও কিছু জমা দেন নি তিনি বলে সূত্রের খবর। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস কেন্দ্রে এনুমারেশন ফর্ম সবচেয়ে বেশি ফেরত এসেছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছেন তবে কি মুখে বাংলার ভালোবাসার কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তরজার পর আর এরাজ্যে ভোটার হতে চান না তিনি।

কলকাতা: বাংলা ভালোবাসেন কিন্তু বাংলাতেই ভোটার হতে চান না রাজ্যের রাজ্যপাল। রাজ্যে পা দিয়েই সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, তিনি নেতাজি ভক্ত। বাংলায় কবিতাও লিখতে চেয়েছিলেন। অথচ ভোটার হয়ে চান না বোস। নির্বাচন কমিশনের সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাজ্যের দায়িত্ব পেলেই তাঁর কাছে কমিশনের প্রতিনিধি দল জানতে চান, তিনি ভোটার হতে চান কি না? প্রস্তাব বোসের কাছে গেলে তিনি জানিয়ে দেন তিনি কেরলের ভোটার। এরাজ্যে নতুন করে নাম তোলাতে চান না।
চলতি এসআইএ-এ রাজ্যেও কিছু জমা দেন নি তিনি বলে সূত্রের খবর। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস কেন্দ্রে এনুমারেশন ফর্ম সবচেয়ে বেশি ফেরত এসেছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছেন তবে কি মুখে বাংলার ভালোবাসার কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তরজার পর আর এরাজ্যে ভোটার হতে চান না তিনি।
কিন্তু সিভি আনন্দ বোস যখন বাংলার রাজ্যপাল হয়ে এসেছিলেন, তখনই বলেছিলেন তিনি বাংলা ভাষাটাকে ঠিক কতটা ভালবাসেন। কতটা নেতাজির আদর্শ মেনে চলেন। বাংলা শিখতেই উদ্যোগী ছিলেন তিনি। সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে ‘হাতেখড়ি’ও হয়েছিল তাঁর। জগদীপ ধনখড় পর্ব শেষ হতে বোসের জমনার একেবারের শুরুর দিকে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, অন্ততপক্ষে এই রাজ্যপালের পর্বে হয়তো রাজভবন-রাজ্য সদ্ভাব বজায় থাকবে। কিন্তু সময় বলে অন্য কথা। সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে। রাজনৈতিক মহলের কথায়, একাধিক ঘাত প্রতিঘাতে বর্তমানে সে সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। যদিও রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যপাল আসলে কেরলের ভোটার। তাই তিনি নতুন করে আর বাংলার ভোটার হতে আগ্রহী নন।
