Tiljala Child Murder: তিলজলার ঘটনায় আড়াই লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজ্য সরকারের
Tiljala Child Murder: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল পুলিশের কর্তারা। যান কলকাতা পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা। রেল পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
কলকাতা: আট বছরের শিশুকন্যা খুনে ফুঁসছে তিলজলা। বন্ডেল গেট অবরোধ করে বিক্ষোভ, পার্কসার্কাস ও বালিগঞ্জের মাঝামাঝি জায়গায় রেল অবরোধ, পিকনিক গার্ডেনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, টায়ার জ্বালানোর কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা- দলে দলে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পার্কসার্কাস, তিলজলা, বালিগঞ্জ এলাকা দাপিয়ে বেড়ালেন বিক্ষোভকারীরা। শিশুকন্যা খুনে দিনভর উত্তপ্ত থাকল দক্ষিণ কলকাতা। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ব্যহত হয় শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল পুলিশের কর্তারা। যান কলকাতা পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা। রেল পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
KEY HIGHLIGHTS
- রাজ্য সরকারের তরফে আড়াই লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে তিলজলার ঘটনায়।
- তিলজলার ঘটনায় এবার ময়দানে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কলকাতায় সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কমিশন। রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবকে নোটিস জারি করেছে শিশু কমিশন। কমিশন একটি দলও পাঠানোর কথা ভাবছে বলে জানা যাচ্ছে।
- সকালেই বন্ডেল গেট রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তিলজলার নিহত শিশুকন্যার প্রতিবেশীরা। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকায়। ট্রাফিক পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। সেখান থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। তারপর আচমকাই জমায়েত শুরু করেন পার্কসার্কাস ও বালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে। রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শিয়ালদা থেকে আপ ট্রেনে স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেন তাঁরা। এবার শুরু হয় রেল অবরোধ। ট্রেনের গা বেয়ে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ কেন প্রথমে এতটা নিষ্ক্রিয় ছিল? যেখানে সকালেই নিখোঁজ ডায়েকি করা হয়েছিল, সেখানে খানাতল্লাশিতে এত দেরি কেন? কেন পুলিশ এতটা দেরিতে শিশুকন্যার খোঁজ শুরু করল? তাঁদের আরও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ কেন মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও দুজনকে গ্রেফতার করল।
- মূলত রবিবার রাতে দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ যখন নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে, তখন প্রতিবেশীদের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তিলজলা থানায় ভাঙচুরও করেন জনতা। সেখান থেকে তিলজলা থানার ভাঙচুর। গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সেই সময় ২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। সেই দু’জনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আরও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
- বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের কর্তারা। এক পুলিশ কর্তাকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের এখন গোটা পরিস্থিতি দেখতে হবে। তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমাদেরও সমবেদনা রয়েছে।” কেন পুলিশ কেন অভিযুক্তকে ধরার আগে স্থানীয় বাসিন্দা, মহিলাদের ওপর ‘হামলা’ করল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ কর্তাকেই এক বিক্ষোভকারীকে বলেন, “স্যর আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকতেন, তো কাল থেকেই থাকতেন। মেয়েটাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, বলতে গিয়েছিলাম। আপনাদেরই একজন বলল, এখন লাঞ্চ টাইম। লাঞ্চের পর দেখছি… মানুষ ক্ষেপবে না?”
- স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ যখন বন্ডেল গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তখন হঠাৎই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পিকনিক গার্ডেন এলাকাও। সেখানে বিক্ষোভরত বাসিন্দাদের পুলিশ সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পিকনিক গার্ডেনের ব্রিজ অবরোধ করে রাখা হয়। সেই অবরোধ হঠাতে গেলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতেও।