Kunal Ghosh: ‘সাহেব অর্ডার দিয়েছে…’, অডিয়ো প্রকাশ করে কুণাল বললেন, ‘ভয়ঙ্কর প্লট তৈরি হয়েছিল’
Kunal Ghosh: বৃহস্পতিবার যখন নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তাররা, তখনই ওই হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি তৃণমূল নেতার। তাঁর বক্তব্য, ওই সময় হামলা চালালে দায়টা রাজ্য সরকারের ওপর চাপত।
জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকে হামলার বড়সড় ছক সাজানো হয়েছিল, এমনটাই দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। একটি অডিয়ো প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানকার কথোপকথনের কথা উল্লেখ করে কুণাল ঘোষের দাবি, ‘২-৩টে শিবির ভয়ঙ্কর প্লট তৈরি করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে হবে বাইরের ছেলেদের এনে হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’ অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
বৃহস্পতিবার যখন নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তাররা, তখনই ওই হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি তৃণমূল নেতার। তাঁর বক্তব্য, ওই সময় হামলা চালালে দায়টা রাজ্য সরকারের ওপর চাপত। বামপন্থী যুব সংগঠন ও অতি বামপন্থী এক ব্যক্তির। ঘটনাস্থলে বিজেপির যুবনেতাদের যাতায়াত আছে বলেও অভিযোগ কুণালের।
এই প্রসঙ্গে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কুণালের কথার প্রতিক্রিয়া দেওয়া ঠিক নয়। অডিয়ো ও ভিডিয়ো ভাইরাল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাঁর প্রশ্ন, লালবাজার বা নবান্ন নয়, কেন কুণাল অডিয়ো প্রকাশ করছে? কুণালের কি কোনও আলাদা যোগাযোগ আছে? কুণাল পাচ্ছেন কী করে? সুজনের দাবি, যারা অডিয়ো ভাইরাল করছে,তাদেরও সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত করা উচিত। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘কুণাল গলা চিনছেন কী করে? জেলে থাকার সময় কি গলা চিনে রেখেছেন?’
ঠিক কী শোনা গেল অডিয়োতে-
কন্ঠ ১- সাহেব অর্ডার করেছে, সল্টলেক ওড়ানোর জন্য।
কন্ঠ ২- অর্ডার হলে করে দে।
কন্ঠ ১- সবাই প্রশ্ন করছে.. যারা পার্টনাররা আছে।
কন্ঠ ২- যখন বলেছে, কিছু একটা ভেবেই তো বলেছে।
কন্ঠ ১- আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনওদিন ভয়ডর লাগেনি। কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়।
কন্ঠ ২- তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।
কন্ঠ ১- ছেলেরা মদ খেয়ে যায়, মারতে গিয়ে যদি বেহাত কিছু হয়ে যায়, সেটা তো চিন্তার বিষয়।
কন্ঠ ২- সেটা ওকে বল, আমার এরকম মনে হচ্ছে, কী করব!
কন্ঠ ১- বাপ্পাদাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেছিলাম। বাপ্পাদা বলল, জানোয়ার হয়ে যাইনি এখনও।
কন্ঠ ২- ওর মত করেই কর।
কন্ঠ ১- দাদু বলছে নবান্নতে মিটিং হয়নি। ওরা তো ফেরত চলে আসবে সল্টলেকে। ভাববে শাসক মারটা মেরেছে।
কন্ঠ ২- হুমম।
কন্ঠ ১-কী বলল কথাটা কিছু বুঝলে?
কন্ঠ ২- হ্যাঁ, বুঝেছি।
কন্ঠ ১- বলছে পুরো দোষটা দিয়ে, আরও অশান্তিটা পাকানো যাবে। কিন্তু কলকাতার কাউকে না, বাইরের। ঠিক আছে দেখছি ওরা তো ওখান থেকে প্রেস কনফারেন্স করছে, আমরা টিভি দেখছি কনটিনিউ। কী করব মাথা ফাটানোটা ঠিক হবে?
কন্ঠ ২- দেখ খানিকটা যদি কিছু করা যায়। খানিকটা হলেও ব্যাপারটা থাকবে যে ওরাই এটা করাল।
কন্ঠ ১- দেখছি।