AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘গান্ধীজি, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিল, আর আমরা তো…’, নারদ মামলায় জামিনের পর বলছে তৃণমূল

রাজনৈতিক লড়াইতে সত্যের জয় হয়েছে বলেই উল্লেখ করছে তৃণমূল (TMC)।

'গান্ধীজি, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিল, আর আমরা তো...', নারদ মামলায় জামিনের পর বলছে তৃণমূল
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
| Updated on: May 28, 2021 | 2:15 PM
Share

কলকাতা: গত ১৭ মে নারদ মামলায় (Narada Case) চার নেতার গ্রেফতারির পর থেকেই পুরো বিষয়টাকে রাজনৈতিক লড়াই বলে আখ্যা দিয়ে আসছে তৃণমূল (TMC)। বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে, এমনটাও দাবি করেছে শাসক দল। আর শুক্রবার সেই মামলায় চার নেতা জামিন পাওয়ার পর ‘সত্যের জয়’ হয়েছে বলে উল্লেখ করল তৃণমূল। ঘনিষ্ঠ মহলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) বলেছেন, ‘গান্ধীজি, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিল। আর আমরা তো কোন ছার।’

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন জামিন পাওয়ায় স্বভাবতই শিবিরে খুশির হাওয়া। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর এ ভাবে গৃহবন্দি হয়ে থাকার বিষয়টা খুব একটা অভিপ্রেত ছিল না তৃণমূলের কাছে। এ দিন জামিন পাওয়ার পর অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজনৈতিক লড়াইতে এ ভাবেই বরাবর সত্যের জয় হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে। এই জামিনকেও সত্যের জয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর দাবি, প্রথম থেকেই এই বিষয়টা রাজনৈতিক লড়াই বলেই মনে করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ, সুব্রত, মদন, শোভন

১৭ মে পরিবহন মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে নিয়ে গেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় সুব্রত, মদন ও শোভনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরা। পরে আদালত গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়ার পর তাঁরা একে একে বাড়ি ফেরেন। আজ হাইকোর্টে এই মামলায় তাঁদের জামিন দেওয়া হলেও কয়েকটি শর্ত চাপানো হয়েছে। বৃহত্তর বেঞ্চের তরফ থেকে ২ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে চার অভিযুক্তকে। পাশাপাশি শর্ত দেওয়া হয়েছে, যাতে ওই চার হেভিওয়েট কোনও সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে না পারেন। পরে জামিন খারিজ হলে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।