AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Twaha Siddiqui on Saokat: ‘সব কেস শওকত করিয়েছে…’, এবার গর্জে উঠলেন ত্বহা সিদ্দিকী, বিস্ফোরক দাবি মোল্লাকে নিয়ে

Twaha Siddiqui on Saokat: শওকত মোল্লার জন্য মুসলিম ভোট কাটছে, এমনটাই বলেছেন আর এক নেতা কাইজার আহমেদ। এমনকী শওকত তাঁকে প্রাণে মারতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি চান, শওকতকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা উচিৎ।

Twaha Siddiqui on Saokat: 'সব কেস শওকত করিয়েছে...', এবার গর্জে উঠলেন ত্বহা সিদ্দিকী, বিস্ফোরক দাবি মোল্লাকে নিয়ে
ত্বহা সিদ্দিকীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2025 | 6:51 AM
Share

কলকাতা: ভাঙড়ের রাজনীতি সরগরম। তৃণমূল নেতারাই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে হাত মিলিয়েছেন আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদরা। একযোগে শওকতের অপসারণ চাইছেন তাঁরা। শওকত শুধুমাত্র একজন বিধায়ক নন, এলাকায় শাসক দলের দাপুটে নেতা। তাঁর কাঁধে রয়েছে দলের দায়িত্ব। গত কয়েক বছরে জমি বেশ শক্ত করেছেন শওকত মোল্লা। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী।

বরাবর তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ত্বহা সিদ্দিকী। এবার শুধু শওকত নয়, একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ত্বহা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “তৃণমূলকে কাজের জন্য পছন্দ করি। কিন্তু এই শওকত মোল্লার মতো নেতাদের নয়। এরকম ১৪-১৫ জন এমএলএ আছে। তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠব। এরা নিজের মা’কে ভাত দেয় না, বাবাকে ভাত দেয় না। তারা কী করে সমাজের দিকে নজর দেবে?”

এরপরই শওকতের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে ত্বহা বলেন, “বিধায়ক হওয়ার পর হিটলার হয়েছে। সবাইকে মিথ্যা কেস দিয়ে দিয়ে জর্জরিত করেছে। ভাঙড় আর ক্যানিং সব কেস শওকত করিয়েছে। রজ্জাক খান, মানিক পাইককে মারা হয়েছে। পুলিশ ধরে ধোলাই দিক। আসল কালপ্রিটের নাম ওর মুখ দিয়েই বেরবে।”

আরাবুলের সঙ্গে শওকতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে জেল থেকে ফেরার পর থেকেই। পুরনো একটি মামলায় আরাবুল জেলে ছিলেন। আর তাঁকে গরাদের পিছনে যে শওকতই পাঠিয়ছেন সে কথাও বলেছিলেন আরাবুল। এবার তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কাইজার। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর নেতা বাহারুল ইসলাম ও সাবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মী-সমর্থক কাইজারকে লক্ষ্য করে অশালীন গালিগালাজ করে ও খুনের হুমকি দেয়।

যদিও এই সব কিছুকেই পাত্তা দিতে নারাজ বিধায়ক। তিনি বলছেন, “কে কী বলল ছেড়ে দিন। ওরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। যে যা বলছে ছেড়ে দিন।”