Ushti Minor Physically Harassed: নাড়াতে পারছে না হাত, কথা বলা তো দূরে থাক! উস্তির নির্যাতিত নাবালকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক
Ushti Incident: জঘন্য এই কাজের সঙ্গে ঠিক কে বা কারা জড়িত তা জানার কাগজ দেওয়া হলেও কিছুই লিখে উঠতে পারেনি।
কলকাতা: উস্তির নির্যাতিত সেই নাবালক টানা তিন দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উস্তির মিশনে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক ছিল। যমে মানুষে টানাটানি চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে। এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে টানা তিন দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। সোমবারও অবস্থার সেই রকম কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এদিন, সকালে হাসপাতালে পৌঁছান শিশু সুরক্ষা কমিশনের (চাইল্ড রাইটস কমিশন) চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। নাবালককে হাসপাতালে দেখার পর তিনি জানিয়েছেন, এখনও সে কোনও কথা বলতে পারছে না। জঘন্য এই কাজের সঙ্গে ঠিক কে বা কারা জড়িত তা জানার জন্য কাগজ দেওয়া হলেও কিছুই লিখে উঠতে পারেনি। কারণ এখনও পর্যন্ত সে হাতটুকু তুলতেও পারছে না। তবে ওই নাবালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও সামান্য স্থিতিশীল রয়েছে তার পরিস্থিতি।
নাবালককের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে একটি বোর্ড। গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশও যথেষ্ঠ সক্রিয় রয়েছে। উপস্থিত রয়েছে উস্তি থানার আধিকারিকও। নির্যাতিত নাবালক কথা বলার মত পরিস্থিতিতে এলে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে বলেও সূত্র মারফত খবর মিলেছে। পাশপাশি যে মিশনে এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার কোনও আধিকারিক বা শিক্ষাকর্মীকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকেই এখন নির্যাতিতর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেই মনে করা হচ্ছে বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গ্রেফতার হবে। জানা গিয়েছে, শিশু অধিকার কমিশন এসএসকেএম, এমএসভিপি এবং উস্তি থানার কাছ থেকে যাবতীয় রিপোর্ট চেয়েছে।
কী ঘটেছিল ‘সেই’ দিন ?
উস্তির এক আবাসিক মিশনে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ওই কিশোর। যেহেতু আবাসিক মিশন, তাই সেখানেই থেকে পড়াশোনা করে নির্যাতিত ওই কিশোর। ৩০ মার্চ রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কান দিয়ে, নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ওই কিশোরের যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরে নৃশংস অত্যাচারের ছাপ স্পষ্ট। গোঙানি, গায়ে কালশিটে দাগ। দেরি না করে দ্রুত তাঁকে প্রথমে নিকটবর্তী এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Malda Child Harassment: ১৫ দিনে ৩ টি ভিন্ন খবর! মালদায় এবার ধর্ষিত ৪ বছরের ছোট্ট শিশু
আরও পড়ুন: Physically Harassed Minor: এসএসকেএমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে উস্তির নির্যাতিত কিশোর