Suvendu Adhikari: ‘যদি কোনও বিধায়ক আক্রান্ত হন, খুন হয়ে যান…’, সাবধান করলেন শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারী এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিধানসভা চত্বরে তাঁর দলের বিধায়করা আক্রান্তও হতে পারেন। বলেছেন, 'আমরা ক্যাম্পাসের মধ্যে যদি কেউ আক্রান্ত হই, যদি কোনও মহিলা বিধায়কের শারীরিক নির্যাতন হয়, যদি কোনও বিধায়ক খুন হয়ে যান... তার দায়িত্ব সচিবের ঘাড়ে বর্তায়।'

Suvendu Adhikari: 'যদি কোনও বিধায়ক আক্রান্ত হন, খুন হয়ে যান...', সাবধান করলেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2024 | 6:54 PM

কলকাতা: বিধানসভার সচিবের কাছে নালিশ জানিয়েছেন মনোজ টিগ্গা, শুভেন্দু অধিকারীরা। বিধানসভার কর্মীদের একাংশ গতকাল শুভেন্দুদের পিছনে স্লোগান দিতে দিতে এগোচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। মূলত তাঁদের বিরুদ্ধেই এবার বিধানসভার সচিবের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে বিধানসভার সচিবের কাছে, সেই তালিকাও এদিন ফেসবুকে লাইভে প্রকাশ্যে আনেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ অনুযায়ী, তালিকায় আছেন তৃণমূলের এক বিধায়কের ভাইও।

শুভেন্দু অধিকারী এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিধানসভা চত্বরে তাঁর দলের বিধায়করা আক্রান্তও হতে পারেন। বলেছেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসের মধ্যে যদি কেউ আক্রান্ত হই, যদি কোনও মহিলা বিধায়কের শারীরিক নির্যাতন হয়, যদি কোনও বিধায়ক খুন হয়ে যান… তার দায়িত্ব সচিবের ঘাড়ে বর্তায়।’ তিনি আরও জানান, বিধানসভার সচিবের পোস্টিং বিচারবিভাগ থেকে করা হয়, সরকার থেকে এই পোস্টিং করা হয় না। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘আমরা এই গুন্ডাদের চিহ্নিত করেছি। মনোজ টিগ্গার লিখিত অভিযোগ, কিছু কালার ছবি ও প্রামাণ্য সিডি আমরা জমা দিয়েছি। আমরা বিচার চাই। যদি বিচার না দিতে পারেন, আমরা সচিবের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’

প্রসঙ্গত, গতকালের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গাদের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল বিধানসভার সচিবের ঘরে যান। সেই সময়ও স্লোগান দিতে দিতে সচিবের ঘরের দিকে যান তাঁরা। ‘সচিব তুমি জবাব দাও’ স্লোগান তোলেন শুভেন্দুরা। শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘আমরা যদি বাইরে মার্ডার হই, কে দায়ী থাকবে!’ যে কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাদের বরখাস্ত করারও দাবি তোলেন শুভেন্দুরা।

শুভেন্দু-মনোজ টিগ্গাদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকেও। তিনি অবশ্য বলছেন, ‘কী ঘটেছিল, তা সবটা আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে যদি কোনও কর্মচারী, তিনি যে সংগঠন প্রভাবিতই হোন না কেন, বিধায়কদের ধাওয়া করা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, কর্মচারীদের কাজ হল বিধায়কদের পরিষেবা দেওয়া। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এমন কিছু ঘটলে, তা নিন্দাজনক।’

যদিও রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি, ‘কেউ মারেনি, কেউ ধেয়েও যায়নি। যে সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘভাতা পেয়েছেন, তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছিলেন।’

শুভেন্দুদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিল ডিএ’র ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে। কোনও ফুটেজে নেই যে আমাদের ছেলেরা ওনাদের দিকে গিয়েছিল।’ তাঁর বক্তব্য, ‘ওরা (বিজেপি) আইনি পথে হাঁটলে আমরাও তাই করব। কোথায় আমাদের ছেলেরা আক্রমণ করেছেন? আমাদের গর্ব মুখ্যমন্ত্রী ডিএ ঘোষণা করেছেন, সেই কারণে আমাদের ছেলেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলছিল। যদি তাতে ওনার মনে হয় আক্রমণ, তাহলে কিছু বলার নেই।’ এদিন সন্ধেয় বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে কথা বলতে বিধানসভাতেও আসেন প্রতাপ নায়েক।