Group C Recruitment Case: শিক্ষকের পর ক্লার্কে চাকরি নিয়েও টানাটানি! পর্ষদের ‘ঘুম ভাঙল’ CBI-এর পত্রবোমায়

Group C Case: কেন্দ্রীয় এজেন্সির চিঠি পেতেই তৎপরতা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। এবার জেলা পরিদর্শকদের থেকে দ্রুত এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল পর্ষদ। প্রত্যেক গ্রুপ সি কর্মীর নিয়োগের তারিখ ও ওই কর্মীর সম্পর্কে মন্তব্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিদর্শকদের। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে।

Group C Recruitment Case: শিক্ষকের পর ক্লার্কে চাকরি নিয়েও টানাটানি! পর্ষদের 'ঘুম ভাঙল' CBI-এর পত্রবোমায়
নিয়োগ মামলার তদন্তে সিবিআইImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 11:13 AM

কলকাতা: গ্রুপ সি নিয়োগ মামলার তদন্তে আরও জোরকদমে আসরে নেমে পড়েছে সিবিআই। সব গ্রুপ সি কর্মীর তথ্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে সিবিআই-এর থেকে জরুরি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে পর্ষদের দুয়ারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির চিঠি পেতেই তৎপরতা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। এবার জেলা পরিদর্শকদের থেকে দ্রুত এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল পর্ষদ। প্রত্যেক গ্রুপ সি কর্মীর নিয়োগের তারিখ ও ওই কর্মীর সম্পর্কে মন্তব্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিদর্শকদের। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে।

সবকিছুই চলছে সুপার অ্যাকশন মোডে। সিবিআই চিঠি পাঠাল মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে। পর্ষদও তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে ফেলল। জেলা পরিদর্শকদের থেকে তথ্য চেয়ে পাঠাল। আর সেই নির্দেশ পাওয়ার পরই কাজ শুরু করে দিয়েছেন জেলা পরিদর্শকরাও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের থেকে গ্রুপ সি কর্মীদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে পাঠাচ্ছেন জেলা পরিদর্শকরা। প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে পোর্টালের তথ্য মিলিয়ে দেখছেন জেলা পরিদর্শকরা।

জানা যাচ্ছে, নিয়োগ মামলায় এবার গোটা রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মী বা ক্লার্করা সিবিআই-এর স্ক্যানারে রয়েছেন। প্রত্যেক গ্রুপ সি কর্মীর জয়েনিং রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। কারও ক্ষেত্রে কোনও বেনিয়ম ধরা পড়লেই সমস্যায় পড়তে পারেন ক্লার্করা।

উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলার শুনানি ও তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত নভেম্বেরর শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে সিবিআই-কেও ডেডলাইন স্থির করে দেওয়া হয়েছে। ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তৎপরতা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।