কলকাতা: বিধানসভার সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী সোমবারের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে। ৫ মে ফের এই মামলার শুনানি হবে। গত ২৮ মার্চ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন তুমুল গন্ডগোল হয় বিধানসভায়। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একে অপরের জামা ধরে টানাটানি পর্যন্ত করেন। রাজ্যের আইনসভায় এমন চিত্রে নিন্দার ঝড় ওঠে। এরপরই বিধানসভা থেকে পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। অন্যদিকে ৭ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমালের জেরে দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। অর্থাৎ বিজেপির মোট সাত বিধায়ক এই মুহূর্তে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডেড। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
সাত বিধায়ক একযোগে এই মামলা দায়ের করেন। সাসপেন্ড নোটিস খারিজের আর্জি নিয়ে আদালতে যান তাঁরা। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। বিজেপি বিধায়কদের যে আইনজীবীরা ছিলেন, তাঁদের দাবি, আগামী ৫ বছরের জন্য বিরোধী দলের সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এজলাসে আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, এভাবে যদি বিরোধী দলনেতা-সহ সাত বিধায়ক সাসপেন্ড থাকেন তা হলে বিধানসভায় বিরোধীরা কথা বলবেন কীভাবে? এভাবে বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
যদিও এই সাসপেনশন ৫ বছরের জন্য নাকি এই অধিবেশনের জন্য তা নিয়ে দু’পক্ষের আইনজীবী সরব হন। এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেব, ‘এটা অত্যাধিক হয়ে যাচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি অধ্যক্ষের হলফনামা তলব করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
২৮ মার্চের ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রয়েছেন সচেতক মনোজ টিগ্গা। এছাড়াও রয়েছেন শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো, দীপক বর্মন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলনেতা কিংবা সচেতককে বাদ দিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলের পক্ষে বিধানসভার কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কিছুটা অসম্ভব। অন্যদিকে ৭ মার্চের ঘটনায় সাসপেন্ড হন মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Maldah Blast: কালিয়াচকে বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যসচিব, ডিজিকে চিঠি শিশু সুরক্ষা কমিশনের