Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Babita Sarkar: ববিতার চাকরি থাকবে কি থাকবে না, কোর্ট রায় দেবে আগামিকাল

Babita Sarkar: হাইকোর্টের নির্দেশে ববিতা সরকার চাকরি পান। কোর্টের নির্দেশেই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন ববিতা।

Babita Sarkar: ববিতার চাকরি থাকবে কি থাকবে না, কোর্ট রায় দেবে আগামিকাল
ববিতা সরকার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 5:23 PM

কলকাতা: ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলার শুনানি চলছে সোমবার। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ববিতা। কলকাতা হাইকোর্টে সে মামলা চলে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতাকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দেন। সেই চাকরি পান ববিতা। এদিকে ববিতার চাকরি নিয়েও প্রশ্ন তুলে আদালতে যান অনামিকা রায় নামে আরেক চাকরিপ্রার্থী। অনামিকার বক্তব্য, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরির আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখেছিলেন। সে কারণেই ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে গিয়েছে। যদি ববিতা তা না লিখতেন তাহলে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর যা দাঁড়াত তাতে এই চাকরি তিনি পেতেন না। অনামিকার দাবি, এ চাকরি পেতেন তিনি। সেই মামলারই শুনানি হয় সোমবার। মঙ্গলবার রায়দান করবে আদালত।

গত ২৪ জুলাই পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি চলে যায় আদালতের নির্দেশে। এদিকে মেধা তালিকা দেখে অনামিকা রায় মামলা দায়ের করেন। ববিতা ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অনামিকা। কমিশন অনামিকা রায়ের মামলার বিরোধিতা করে। আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, নতুন আবেদন করতে পারতেন অনামিকা। কিন্তু কারও জায়গায় এভাবে চাকরির আবেদন করা যায় না। অন্যদিকে রাজ্য জানায়, ভুল তথ্য দিয়েছে ববিতা। তাই তাঁর চাকরি বাতিল হোক।

ববিতা সরকারকে অতিরিক্ত ২ নম্বর দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন ববিতা। তাঁর বক্তব্য, মামলা চলাকালীন এসএসসি জানিয়েছে, তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। অথচ ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় তার নম্বর কমে ৩১ হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, সমাজে এখনও কিছু সৎ মানুষ আছেন। ববিতা নিজেই আদালতের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন। ববিতার চাকরি নিয়ে কী নির্দেশ দেয় আদালত, এখন সেদিকেই নজর।