কলকাতা:আজ থেকে কোমর বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে আমেম্বদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, আজই শহিদ মিনারে ছাত্র-যুবর সমাবেশ করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে তৃণমূল যুব নেতাদের নাম। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে যুবদের কী বার্তা দেন তার জন্য ধর্মতলার সভার দিকে তাকিয়ে তৃণমূল যুব শিবির। একদিকে যখন ধর্মতলায় ছাত্র যুবদের পেপটক দেবেন অভিষেক, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই কর্মসূচি থেকে বার্তা দেবেন তৃণমূল শীর্ষ কর্তারা। নজর রাজনৈতিক মহলের। একা তৃণমূল নয়। আজ পথে নামবে বাম-বিজেপিও। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে রামলীলা ময়দান থেকে হবে বামেদের মিছিল। অপরদিকে, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস অফিস বা বিধানভবন থেকে হবে কংগ্রেসর মিছিল। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। রাজ্যজুড়ে চুরি, কেন্দ্রের টাকা দুর্নীতির করার অভিযোগে শ্যামবাজারে হবে বিজেপির ধরনা।
দুদিন হয়ে গেল, একটা চুনোপুঁটি লিডারও ফোন করে বলেনি, আচ্ছা আমরা দেখব। তোমাদের দাবিটা ন্যায্য। এখানকার নেতারা যাচ্ছেন। গিয়ে দিল্লিতে বলে আসছে, একশো দিনের টাকা, রাস্তার টাকা দেবে না। দিল্লিও দিচ্ছে না। বাংলায় অর্থনৈতিক অবরোধ করা হলে দিল্লি জেনে রেখো আমরাও রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অবরোধ করতে পারি।: মমতা
একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়া আবশ্যক। কিন্তু আপনারা দিলেন না। শুনে রাখুন, আমরা খুব ভদ্র। আমরা খুব মানবিকতা, সৌজন্যতা মানি। কিন্তু আমাদের কেউ চমকালে, আমরা গর্জাই। আমাদের গর্জালে আমরা বর্ষাই।: মুখ্যমন্ত্রী
ধরনা না করে কেন বিজেপি সরকারের সঙ্গে কথা বললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেই জবাবও নিজেই দিলেন ধরনা মঞ্চ থেকে। বললেন, ‘আমি একবার নয়, দশবার কথা বলেছি। বাংলার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চার-পাঁচ বার গিয়েছি। কাগজ হাতে দিয়ে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন, তখনও দিয়েছি। কতবার যাব? ওরা কি ভাবে আমরা ক্রীতদাস? নাকি বিরোধীরা মানে চাকর-বাকর? আমরা ক্রীতদাস নই। আমরা এই দেশের নাগরিক।’
মমতা বললেন, ‘আমি চোখ দিয়ে দেখি, কান দিয়ে শুনি, নাক দিয়ে গন্ধ পাই। বলতে পারেন, আমার চোখ-কান-নাক খুব সেন্সেটিভ। যে কোনও গন্ধ কারও আগে আমি পাই।’
মমতা বললেন, ‘রাতের পর রাত জেগে রাস্তায় থেকেছি। কলকাতার বুকেই ১৯৯৫ সালে মানবিক অধিকার ধরনা করেছিলাম লকআপে মৃত্যু নিয়ে। ২১ দিন ধরনা করেছিলাম। মোট দশ বার আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি।’
আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কর্মী হয়ে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়া যাবে না। আন্দোলনের মঞ্চে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি মমতার। তিনি বলেন, হাতে গোনা কয়েকটা লোক এই কাজটা করছে। জনগণের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবেন বলছেন। সাইলেন্স প্লিজ। আগে ১ তারিখে মাইনেও পেতেন না। এখন ১ তারিখে পেনশন পান। চিরকুটে চাকরি পেয়ে ৫৫-৬০ হাজার টাকা পেনশন পায়।
গ্যাসের বর্ধিত দাম নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম মঞ্চে গ্যাস নিয়ে আসব। আগুন লাগার ভয়ে আনতে পারিনি। কিন্তু আমরা সব পারি। দরকার হলে দিল্লিতে গিয়ে চুলহা চালাব।
‘বাংলায় কী নেই? সরকারি স্কুলের সব মেয়েরা কন্যাশ্রী। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও টাকা পায়। স্মার্ট কার্ড করে দিয়েছি। সাইকেল দিই বিনা পয়সায়। কারও মৃত্যু হলে কবর দিতে না পারলেও তাকে আমরা টাকা দিই।’ রূপশ্রী সহ একাধিক স্কিমের কথা উল্লেখ করলেন মমতা। হাসপাতালে বিনা পয়সায় ওষুধ থেকে শুরু করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আয়ুস্মান ভারত স্কিমের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলেছিল নাকি ৬০ শতাংশ দিতে হবে। আর তাতে ছবি থাকবে প্রধানমন্ত্রীর। আমরা বলেছি ৬০ শতাংশ দিতে পারলে বাকি ৪০ শতাংশও দিতে পারব।’
আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রকে ফের নিশানা মমতার। তাঁর দাবি, অনেক সৌজন্য দেখিয়েও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্র থেকে। জিএসটি বাবদ টাকা দেওয়া হচ্ছে না, বাংলার জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বাজেটে সব রাজ্যকে টাকা দিয়েছে শুধু বাংলা বাদ।’
আজ করোনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, করোনার সময় তিনি গান লিখেছিলেন। সেই গানের সুর দিয়েছিলেন কবীর সুমন। এরপর গানটি ধরনা মঞ্চে বাজাতে অনুরোধ করেন তিনি।
আজ দ্বিতীয় দিন। সকাল ৯টায় উঠল নীল পর্দা। দোলা সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দিনের ধরনা। সকালবেলাই ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে’ গানের সঙ্গে সুর মেলালেন তিনি।
এই পর্দাঘেরা ধরনা মঞ্চের ভিতরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
(নিজস্ব চিত্র)
আজ ধরনার দ্বিতীয় দিন। এখনও ওঠেনি ধরনা মঞ্চের পর্দা। তবে যে কোনও মুহুর্তে প্রাতঃভ্রমণে বের হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাতভর পর্দা ঘেরা ধরনা মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী ছিলেন দোলা সেন। বুধবার দুপুর থেকেই রেড রোডের আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যরাত পর্যন্ত নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাতভর রাস্তায় ছিলেন তৃণমূলের যুবনেতারাও।
দুর্নীতি ইস্যুতে শ্যামবাজারে ধরনায় বঙ্গ বিজেপি। হিসাব দিলে মিলবে টাকা। জবাব সুকান্তর। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মিথ্যাচার তৃণমূলের। অলআউট আক্রমণ বিরোধী দলনেতার
বিস্তারিত পড়ুন: Mamata Banerjee : ‘এদের জন্যই মানুষ পরিষেবা পায়’, DA আন্দোলন নিয়ে মমতাকে নিশানা দিলীপের; তোপ বামেদেরও
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেই মদন মিত্র- কুণাল ঘোষকে ছেড়ে দেব বলেছিল সিবিআই। শহিদ মিনারের সভা থেকে বিস্ফোরক অভিষেক।
বুধবার ধরনা মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ধরনা মঞ্চে চোর ডাকাতরা। সব চিরকুচটে চাকরি পাওয়ারা। তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত পড়ুন: Mamata on DA Agitation : যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল এখন ডিএ-র ওখানে বসে আছে: মমতা
শহিদ মিনার চত্বরে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতার পায়ের কাছে অন্যান্য় নেতা-নেত্রীদের পাশে বসে পড়েন তিনি। মঞ্চে সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুখেন্দু শেখর রায়ের মতো নেতা-নেত্রীরা একে একে বক্তব্য পেশ করছেন।
‘কালো হল সাদা’, বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই স্লোগান দেওয়া হল তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে। এদিন একটি আস্ত ওয়াশিং মেশিন নিয়ে আসা হয় মঞ্চে। প্রতীকী প্রতিবাদে তৃণমূল দাবি করে, বিজেপিতে গেলেই মুছে যায় দুর্নীতির দাগ। ওয়াশিং মেশিন ভাজপা বলে স্লোগান দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে।
বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুজন চক্রবর্তী থেকে শুভেন্দু অধিকারী, একের পর এক নেতাদের তোপ দাগছেন অভিষেক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তুললেন বঞ্চনার অভিযোগও।
বিস্তারিত পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদী বলেছিলেন বাংলার মানুষের হাতে লাড্ডু তুলে দেব, আজ তিনি তাই করেছেন: অভিষেক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে তৃণমূলের লোগো চোখে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা ব্যাখ্যা করলেন, সরকারের তরফে নয়, দলের তরফেই এই কর্মসূচি। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেই মূলত প্রতিবাদ মমতার।
দুপুর ২ টো থেকে শুরু বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ। এখনও পর্যন্ত (দুপুর ১টা ১৮ পর্যন্ত) নেতৃত্বরা উপস্থিত হননি। মৌলালিতে জমায়েত বামেদের।
হেলমেট ছাড়াই তৃণমূল ছাত্র যুবরা
(নিজস্ব চিত্র)
শহিদ মিনারে সমাবেশের জন্য শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে না পড়লেও কিছু জায়গায় গাড়ির গতি শ্লথ হয়েছে। বেশি সময় ধরে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। মৌলালি মোড়ে জ্যাম রয়েছে। গাড়ি ঢুকছে না এসএন ব্যানার্জি রোডেও। জ্যাম রয়েছে লেনিন সরণিতেও, এজেসি বোস রোড, সেন্ট্রাল এভিনিউ, জেএল নেহরু রোড, সিআইটি রোড,এমজি রোডে জ্যাম।
এর পাশাপাশি শহরে আজ বিনা হেলমেটে দাপট তৃণমূল সমর্থকদের। পুলিশের সামনে থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বাইক গেলেও পুলিশ নীরব দর্শক। কেন ধরছেন না বিনা হেলমেটের বাইক? দায় এড়াচ্ছে পুলিশ।
আজ শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে উপস্থিত হন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। TV9 বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ফল যাই হোক কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম ভাবে সব রকমভাবে রাজ্যসরকারকে সাহায্য করবে তারপরও আমাদের সরকারকে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। ভুয়ো জবকার্ডের তালিকায় উত্তরপ্রদেশ প্রথম। অথচ তাও বাংলা টাকা পাচ্ছে না।”
সময়মতো ঠিক দুপুর ১২টায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ধরনা মঞ্চে আজ ও আগামিকাল ধরনা দেবেন তিনি। এ দিন, মুখ্য়মন্ত্রীর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল ফিরহাদ হাকিম, বীরবাহা হাঁসদা, ইন্দ্রনীল সেন, জ্যোৎস্না মান্ডি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজাতা মণ্ডল,অরূপ রায় সহ একাধিক নেতা মন্ত্রীরা।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তুলে ২ দিন ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চুরির অভিযোগে পথে নেমেছে বিজেপিও। এ হেন পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একটি ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটি কোন জায়গা অথবা কোন পার্টি অফিসের তাও পোস্ট করা হয়নি। ) পোস্ট করে টুইট করেছেন তিনি। যেখানে বিজেপি নেতা লিখেছেন,’তৃণমূল কর্মীরাই পার্টি অফিস থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি’
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, ধর্নায় বসেছেন @MamataOfficial। রাজ্য সরকারের অপদার্থতা ও বঞ্চনার অভিযোগে যেখানে ওনার দলের কর্মীরাই পার্টি অফিস থেকে ওনার ছবি সরিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, ওনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না সেখানে ওনার এই ধর্না কর্মসূচি কতটা যুক্তিগ্রাহ্য? pic.twitter.com/MgUfwtML3D
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) March 29, 2023
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে তাঁর মিটিংয়ে যোগ দিতে যাচ্ছেন বনগাঁর তৃণমূল জেলার সভাপতি নেতৃত্বে একটি দল। সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী বনগাঁ এবং বনগাঁ সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ শহিদ মিনারের উদ্দেশ্যে বনগাঁ থেকে দশটা আঠাশের ট্রেনে রওনা দিচ্ছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য নৌকায় চড়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকেই বালি দ্বীপ এলাকার দলের কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে গোসাবার তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা নৌকাতেই স্লোগান দিতে দিতে রওনা দেন সভাস্থলের উদ্দেশ্যে।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়
ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এসেছেন কলকাতায়। শিয়ালদহতে তাঁরা জমায়েত করেছেন। এদের প্রত্যেকে আপাতত ঠাই নিয়েছেন কোচবিহার ভবনে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আজ মনে হচ্ছে কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যাবে।”
শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে। তৃণমূল কর্মীদের বসার জায়গা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি।
শহিদ মিনার চত্ত্বর জুড়ে সরগরম পরিস্থিতি। আজ এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন সভা। ঠিক তার থেকে কিছু দূরেই সভা রয়েছে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের ধরনা মঞ্চ। শহিদ মিনারে ওয়াচ টওয়ার তৈরি করা হয়েছে। আঁটসাঁট পুলিশি প্রহরা। এ দিন, আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা পুলিশকে আর্জি জানিয়েছেন যাতে মাইক খুলে ফেলা হয়। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মাইক সরকারি কর্মীদের ধরনা মঞ্চের দিকে তাক করে লাগান হয়েছে।
ধরনা মঞ্চের মঞ্চের কাজ একটু বাকি রয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে প্রবেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ দুপুর ১২টা থেকে আগামিকাল পর্যন্ত টানা সেখানেই থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শাসকদলের পতাকায় ঢেকেছে রেড রোড, মেয়ো রোড।