Mamata Banerjee : ‘এদের জন্যই মানুষ পরিষেবা পায়’, DA আন্দোলন নিয়ে মমতাকে নিশানা দিলীপের; তোপ বামেদেরও
DA Agitation : “এই মানুষগুলির জন্যই তো এখন মানুষ দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী সব পাচ্ছে। আপনি বিদেশ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন। এই সরকারি কর্মীদের দিয়ে আপনি রিগিংও করেছেন ভোটের সময়।” তোপ দিলীপের।
কলকাতা : “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র (DA Agitation) ওখানে বসে রয়েছে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? সব চোর-ডাকাত।” এদিন রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে এ ভাষাতেই ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(CM Mamata Banerjee)। যা নিয়ে জোর শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। ডিএ আন্দোলনকারীরা তো সাফ বলছেন, “উনি যে চাপে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে। তাই নিজের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অধ্যাপক, সচিবালয়ের একাংশের কর্মীকে চোর-ডাকাত বলছেন।”
কড়া প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতার বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে বলেছেন, “এই মানুষগুলির জন্যই তো এখন মানুষ দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী সব পাচ্ছে। আপনি বিদেশ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন। এই সরকারি কর্মীদের দিয়ে আপনি রিগিংও করেছেন ভোটের সময়। আপনার জন্য এত কিছু করে দিয়েছে, আর এখন আপনি তাদের প্রাপ্যটাই দিচ্ছেন না অথচ চোর চোর ডাকাত বলছেন!”
তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বলেছেন, “উনি টাকা দিতে পারছেন না, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সরকার চালাচ্ছেন, তাই সরকারি কর্মচারি, শিক্ষক, পুলিশ কর্মী, পৌরসভা-পঞ্চায়েত কর্মীদের নায্য দাবির বিরুদ্ধে এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন। দুর্ভাগ্য যে উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।” অন্যদিকে এদিনের ধর্না মঞ্চে শুরু থেকেই মমতার নিশানায় ছিল বামেরা। বলেছেন, “প্রাইমারি স্কুল হোক, মাধ্যমিক স্কুল হোক, যত কাগজ বেরোচ্ছে এখন সব সিপিএমের লোকেরা করছে বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে। ওদের একটা ফাইল খুঁজুন, পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজন, পাবেন না। লুকিয়ে রেখেছে। ২০০২, ২০০৯, ২০২০ এর খুঁজুন পাবেন না। হয় চুরি করেছে, নয় পুড়িয়ে দিয়েছে, নয় লুকিয়ে রেখেছে।” পাল্টা তোপ দেগেছে বামেরাও। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টচার্য বলেন, “উনি ২০১১ সালে প্রচুর ফাইল দেখিয়ে বলেছিলেন সরকারে এলে ফাইল খুলবেন। সিপিএমের দুর্নীতির তদন্ত করবেন। সরকারে এসে ১৭টা কমিশন গড়েছিলেন। একটা কমিশনের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ হয়নি।”