Tajpur Port: তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার টেন্ডার ডাকল রাজ্য
Global Tender of Tajpur Port: এক হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠবে তাজপুর বন্দর। তবে এই জমির জন্য অধিগ্রহণ করতে হবে না রাজ্য সরকারকে।
কলকাতা ও তাজপুর: তাজপুর বন্দরের জন্য রাজ্য সরকার আজ গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেছে। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন জমা দেওয়া যাবে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে নির্মাণকারী সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে।
এক হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠবে তাজপুর বন্দর। তবে এই জমির জন্য অধিগ্রহণ করতে হবে না রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের হাতেই রয়েছে সেই জমি। জমির ইয়ার মার্ক ইতিমধ্যে করে ফেলেছে সরকার ।
তাজপুর বন্দরের জন্য সবমিলিয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরে রাখা হয়েছে।
এদিকে তাজপুরে গ্ৰিনফিল্ড বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রত্যক্ষ ভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। প্রথম পর্যায়ে ছ’টি বার্থ ও পরের পর্যায়ে আরও ন’টি বার্থ তৈরি হবে এই বন্দরে।
এর আগে কথা ছিল রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে তাজপুরে বন্দর গড়ে তোলা হবে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল,রাজ্য সরকার যদি জমির ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা হবে। কিন্তু পরে রাজ্য ঠিক করে, যৌথ উদ্যোগে নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাই তাজপুরে বন্দর তৈরি করবে। সেই মতো আজ তাজপুর বন্দরের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকল রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর করা নিয়েই রাজ্য-কেন্দ্র চাপান উতোর চলেছিল দীর্ঘদিন। এর পর কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেছিলেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য আগেই রাজ্যকে বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই সময় রাজ্যের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য জমি দিলে তাজপুরে বন্দর তৈরি করতে চায় কেন্দ্র।
রাজ্য যে এককভাবে তাজপুরে বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতেও রাজ্য সরকারের একগুয়েমিকে দেখছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর অবশ্য বলেছেন, রাজ্য চাইলে নিজে থেকে এককভাবে বন্দর তৈরি করতেই পারে। কিন্তু বন্দর তৈরির বিষয়টি এমনই, যে এখানে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন। রেলের সাহায্য লাগে। ফলে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া এই বন্দর গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলেই মত শান্তনু ঠাকুরের।
এর আগে বিধানসভা ভোটের প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, “পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বিশেষ স্কিম চালু করার কথা ভাবছি। ভবিষ্যতে মেদিনীপুর থেকে মাছ বিক্রি করা যাবে। দীঘায় তাজপুর বন্দর তৈরি হচ্ছে। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে ২৫ হাজার লোকের চাকরি হবে। সেই চাকরি কাঁথির ছেলে-মেয়েরাও পাবে।”
আরও পড়ুন : Punjab: সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল দুর্ঘটনার হাড় হিম করা ছবি, দেখে নিন ভিডিয়ো