CV Ananda Bose: ‘কে কালপ্রিট সবাই জানে’, সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা রাজ্যপাল বোসের
CV Ananda Bose: গত ৫ জানুয়ারির ঘটনা। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি গিয়েছিল। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ি। শাহজাহান অবধি তো ইডি পৌঁছতেই পারেনি, উল্টে বেধড়ক মার খেতে হয় তাদের। রক্তারক্তি কাণ্ড, ল্যাপটপ-ফোন খুইয়ে ফিরতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনার পর ৯ দিন হল, অথচ এখনও শাসকদলের নেতা শেখ শাহজাহানকে ছুঁতে পারেনি পুলিশ। তিনি কোথায়, জানেই না প্রশাসন। দিন দুই আগে গাড়ির ডিকি খুলে তাঁকে খুঁজতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। বিরোধীরা শাহজাহান প্রসঙ্গে যখন সুর চড়াচ্ছে, তখন রাজ্যপাল বোসের গলাতেও উষ্মার সুর। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন,”এখন রাজ্য সরকারের অ্যাকশন নেওয়া উচিত। কোনও অজুহাত দেখানো উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খারাপ জিনিসকে বন্ধ করতে না চাওয়া কখনওই সহ্য করা হবে না। সংবিধান রয়েছে, আদালত রয়েছে এবং রাজ্যপাল রয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা করার করা হবে।”
গত ৫ জানুয়ারির ঘটনা। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি গিয়েছিল। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ি। শাহজাহান অবধি তো ইডি পৌঁছতেই পারেনি, উল্টে বেধড়ক মার খেতে হয় তাদের। রক্তারক্তি কাণ্ড, ল্যাপটপ-ফোন খুইয়ে ফিরতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “কে কালপ্রিট সকলেই জানে। যদি না ধরা যায়, কেন ধরা যাচ্ছে না, সর্বসমক্ষে বলা হোক। সত্যি বলা হোক। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যপালের এই মন্তব্য। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও তাঁর মনে যে প্রশ্ন রয়েছে, এদিনের বক্তব্যে তা প্রচ্ছন্ন।