PIL: সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে নতুন জনস্বার্থ মামলা, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস নেতানেত্রী মিলিয়ে ১৭ জনের নাম

Calcutta High Court: মামলায় নাম আছে শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁয়ের।

PIL: সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে নতুন জনস্বার্থ মামলা, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস নেতানেত্রী মিলিয়ে ১৭ জনের নাম
জনস্বার্থ মামলা দায়ের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 10:03 PM

কলকাতা: শাসকদলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা দায়ের হয় সম্প্রতি। এই জনস্বার্থ মামলা এই মুহূর্তে বিরোধীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে। এরইমধ্যে নতুন একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর পর এবার ১৭ জনের নামে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম মিলিয়ে নেতানেত্রীদের নাম রয়েছে এই মামলায়। রয়েছে তৃণমূলের টিকিটে জেতা দুই সাংসদের নামও। তালিকায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মিহির গোস্বামীর মতো বিজেপি নেতার নাম। রয়েছে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানেরও। নাম রয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমেরও।

কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন জনৈক সুজিত গুপ্ত। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এই মামলা। মামলাকারীর দাবি, এর মধ্যে বিজেপি নেতাদের কারও কারও দ্বিগুণ আয় বেড়েছে। মামলার তালিকায় নাম রয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের।

তালিকায় নাম আছে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের। এছাড়াও রয়েছে বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, অনুপম হাজরা, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিশ্বজিৎ সিনহা (রাহুল সিনহা), সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যর নাম। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু মানুষ একটা দুর্নীতি ঢাকতে এইসব করছে। মানুষ যা বলার বলছে, বুঝতেও পারছে।” অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আমার নিজস্ব একটা পেশা আছে। আমি একটা পেশা থেকে এখানে রাজনীতিতে এসেছি। কাটমানি, তোলাবাজি, মানুষকে ঠকিয়ে টাকা করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসিনি। রাজনীতির আয় করা টাকা থেকে আমার সংসার চলে না। আমার তার জন্য একটা আলাদা পেশা আছে। আর আজ যারা এসব বলছে, আমি বলব তদন্ত হোক না। কোনও অসুবিধা নেই। এখন রাজ্যে যা ঘটছে তা থেকে নজর ঘোরাতে অনেকেই বিজেপির ভোকাল নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করছে।”

অন্যদিকে এই মামলা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত হবে, এত ভাল কথা। বেআইনিভাবে কেউ অর্থ বাড়িয়ে থাকলে তা নিয়ে মামলা হলে তাতে তো কোনও ক্ষতি নেই।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমি দেখলাম একটা কেস কেউ করেছে বলে মনে হল ১৭জনের নামে। সঙ্গতিহীন আয়ের কথা বলা হয়েছে। বেশ করেছেন। সঙ্গতিহীন আয় যাদেরই থাকবে, স্ক্রুটিনি করা উচিৎ। কোনও অসুবিধা নেই। ১৭ জনের মধ্যে ২ জন দেখলাম সিপিএমের। আমাদের যে দু’জনের নাম আছে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এসব ফাজলামোর কোনও মানে নেই। এখন কোটি কোটি ধরা পড়তেই মুখ লোকানোর বাহানা করছে। লোককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এসব।”