কলকাতা: রাতের শহরে বেপরোয়া গতির বলি হলেন এক যুবক। ইকো পার্ক থানা এলাকার একটি অভিজাত হোটেলের সামনে শুক্রবার মাঝ রাতে ঘটনাটি ঘটে। একটি পণ্যবাহী গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী ওই যুবকের। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অন্যদিকে ঘাতক গাড়িটি খুঁজছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবক নিউটাউন থানা এলাকার জগৎপুরের বাসিন্দা। নাম বাদল বৈরাগী। অন্যদিকে এদিনই ঘণ্টাখানেকের তফাতে সল্টলেকের পিএনবি আইল্যান্ডের কাছে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতির জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি চার চাকার গাড়ি। গাড়িতে চালক-সহ এক যাত্রী ছিলেন। চালকের মাথায় চোট লাগে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা চিংড়িঘাটা মোড় পর্যন্ত ইএমবাইপাসে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও সচরাচর কেউ গতি বাড়িয়ে গাড়ি চালাতে পারেন না। কারণ, তেমনটা হলে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হয়। তবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে নেমে সেক্টর ফাইভ বা নিউটাউন যাওয়ার পথে এই স্পিড লিমিটার কার্যত দেখাই যায় না। ফলে এই রাস্তায় রাত বাড়লে বাড়ে গাড়ির গতি।
২০১৬-য় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পের সূচনার পর থেকে পুলিশের নজরদারি বেড়েছে ঠিকই। রাতের কলকাতায় সারা বছরই নাকা তল্লাশি হয়। পুরসভা বা পুরনিগমগুলি নানা কর্মসূচিও করে। পথ সচেতনতার প্রচার কর্মসূচিতে আশাতীত ফলও মিলেছে। তারপরও বেশ কিছু অসচেতনতা থেকেই গিয়েছে। বাইকের ক্ষেত্রে যেমন হেলমেট না পরার প্রবণতা এখনও রয়েছে। চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পিছনে যিনি বসেছেন, তাঁর মাথা ফাঁকা।
আরও পড়ুন: Bomb Recovered : খাস কলকাতায় অটোর ভিতর উদ্ধার বোমা, গুলি; তবে কি বড় কোনও ছক, উঠছে প্রশ্ন