AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission: জবাব দিচ্ছে না রাজ্য, কমিশনের কাছে এখন খোলা তিনটি পথ, কী বললেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি

Election Commission: ভোটার লিস্ট বিতর্কে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয় ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও সুপারিশ করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

Election Commission: জবাব দিচ্ছে না রাজ্য, কমিশনের কাছে এখন খোলা তিনটি পথ, কী বললেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2025 | 2:43 PM
Share

কলকাতা: ভুয়ো ভোটার বা অস্তিত্বহীন ভোটারের নাম তালিকায় তোলার ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে দুই ইআরও ও দুই এইআরও-র বিরুদ্ধে। তাঁদের সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনও তৎপরতা নেই! এবার কী করবে কমিশন? কী বলছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত।

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলছেন, রাজ্য সরকারি যদি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ না মানে, তাহলে কমিশনের কাছে তিনটি পথ খোলা থাকবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়োগ সংক্রান্ত অথরিটি হল রাজ্য সরকার। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের সাহায্য ছাড়া কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। রাজ্য় যদি এই সুপারিশ না মানে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনটি পথ খোলা থাকে।

প্রথমত, কমিশনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হলে কমিশন সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে পারে ও বলতে পারে যে যতক্ষণ পর্যন্ত না তালিকা পুরোপুরি সংশোধিত হয়ে প্রকাশ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা হবে না।

দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিতর্ক হলে সে কথা নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে জানাতে পারে।

তৃতীয়ত, বিতর্ক মেটাতে আইনি পথ নিতে পারে। নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকার, যে কোনও পক্ষ আদালতে যেতে পারে। আদালতের নির্দেশ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

উল্লেখ্য, ভোটার লিস্ট বিতর্কে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয় ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও সুপারিশ করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমি প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব।’ তবে কমিশন সূত্রে খবর, কোনও জবাব না দেওয়া হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন।