Arjun Chaurasia: খুন নাকি আত্মহত্যা? অর্জুনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে?

Arjun Chaurasia: আদালতের নির্দেশে শনিবারই কম্যান্ড হাসপাতালে অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। অবশেষে সামনে এল রিপোর্ট।

Arjun Chaurasia: খুন নাকি আত্মহত্যা? অর্জুনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে?
কী বলছে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 8:12 PM

কলকাতা: বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরসিয়ার (BJP Worker Arjun Chaurasia) মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। অর্জুন আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? এই প্রশ্নই তীব্র চাপানউতর তৈরি করে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। আদালতের নির্দেশে শনিবারই কম্যান্ড হাসপাতালে অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। অবশেষে সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের প্রমাণ মেলেনি। এমনকী দেহে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্নও মেলেনি বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে অর্জুনের মৃত্যুর পরেই শাসক তৃণমূলের বিরদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি। এমনকী খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এসেও খুনের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন। উঠেছিল সিবিআই তদন্তের দাবিও। সেখানে এবার সরাসরি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের প্রমাণ না মেলায় যে চাপ বাড়বে পদ্ম শিবিরে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এদিন কম্যান্ড হাসপাতালের প্যথোলজি ও ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক হেমন্ত ও চিকিৎসক জসবিন্দরের তত্ত্বাবধানেই চলে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া।

সূত্রের খবর, এদিন কম্যান্ড হাসপাতালে প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে অর্জুনের শবদেহে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন এইমসের বিশেষ টিম। এমনকী গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন অর্জুনের পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু, ময়নাতদন্ত শেষে খুনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সমস্ত প্রমাণের প্রয়োজন রয়েছে তার কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী খুন হয়েছে কিনা তা প্রমাণের জন্য যে সমস্ত চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা প্রয়োজন তা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে খবর। এদিকে অর্জুনের মৃত্যু নিয়ে গতকাল থেকেই রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছিল। তাঁর খাবারে সঙ্গে বা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল কিনা সেই তত্ত্ব উঠে আসছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তারপরেই তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা সেই প্রশ্নও ঘনীভূত হচ্ছিল।

এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই অর্জুনের নখের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁর শরীরে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু, তাঁর শরীরে কোনও আঘাত বা চোট পাওয়া যায়নি যার ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে খুনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায়। উল্টে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসার পর, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব উঠে আসছিল তাই নতুন করে জোরালো হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।