Arjun Singh Interview: ‘দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে’, টিভি-৯ বাংলার বিশেষ সাক্ষাৎকারে কাকে নিশানা করলেন অর্জুন?
Arjun Singh Interview: বিজেপির কেন্দ্রীয়-রাজ্য নেতৃত্বে আস্থা হারাচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা? পাট শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে কথা বলায় চাপ আসছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে? প্রশ্ন শুনে কী বললেন ব্যারকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ?
কলকাতা: একুশের ভোটের পর থেকেই ভাঙন অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। একসময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) আসা একগুচ্ছ প্রথমসারির নেতা ফের বদলেছেন শিবির। গায়ে চাপিয়েছেন সবুজ জ্যাকেট। ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে(Trinamool Congress)। এদিকে শেষ পুর নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এমনকী বালিগঞ্জ, আসানসোলের উপনির্বাচনেও দলের অবস্থা তথৈবচ। এমতাবস্থায়, দলের অন্দরে ‘বিদ্রোহী’ মেজাজে দেখা গিয়েছে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ (BJP MP from Barrackpore) অর্জুন সিংকে। আওয়াজ তুলেছেন রাজ্যে পাট শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে। প্রয়োজনে মমতার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথাও শুনিয়ে রেখেছেন ‘বেসুরো’ অর্জুন। সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। আচমকা এই ‘বোল বদলে’ কী চাপ আসেনি দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে?
টিভি-৯ বাংলার বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, “যাঁর জন্য পুরো সিস্টেম ভেঙে পড়ছে, তাঁর বিরুদ্ধে যদি কথা বলা না হয়, তাহলে তা তো সকলের ক্ষতি। যাঁরা সংসদীয় রাজনীতি করেন, যাঁরা ভোটে দাঁড়ান, তাঁরা যদি এ নিয়ে কথা বলেন তাহলে কেন এটা ভেবে নেওয়া হয় চাপ আসবে? এটাও তো হতে পারে যে আওয়াজ তোলার জন্যই ফের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক হলে হাজার হাজার মানুষ বেঁচে যাবে। আর চাপ হলে খুব বেশি হলে আমাকে তাড়িয়ে দেবে। এর থেকে বেশি তো কিছু হবে না”। এদিকে বিদ্রোহী অর্জুনকে বাগে আনতে গিয়ে চাপ বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও। অস্বস্তি বেড়েছে দিলীপ-সুকান্তদের। এই প্রসঙ্গে অর্জুনের চাঁচাছোলা জবাব, “পার্টির উপর কোনও চাপ নেই। পার্টি পার্টির মতো চলছে। আর পার্টিকে কিছু লোক নষ্ট করছে। এতে তো দলের বিরুদ্ধেই ভুল বার্তা যাচ্ছে”।
এখানেই না থেমে অর্জুন আরও বলেন, “জুট মিলগুলির হাল খারাপ, সে কথা সবাই জানে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সবসময় সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার কথা বলেন। কৃষকের আয় বৃদ্ধির পক্ষেও বারবার জোরালো সওয়াল করেছেন। এটা আমাদের দলেরও মূল উদ্দেশ্য। যদি তাই হয়, তাহলে পাট শিল্পের হাল ফেরাতে চাইলে কেন চাপ বাড়বে? মানুষ আজকে ভোট দিয়ে আমাকে এই আসনে বসিয়েছে। তাই আমারও কিছু কর্তব্য আছে। আমি যদি সাংসদ হয়ে শুধু বিমান চড়ে ঘুরে বেড়াই, আর দু-চারদিন লোকসভার জিরো আওয়ারে কথা বলি, তাতেই কী আমার কাজ শেষ? এটা আমি বিশ্বাস করিনা। এই ধরনের রাজনীতি আমি শিখিনি”।
প্রসঙ্গত, এর আগে পাটের দাম নিয়ে বস্ত্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরেই বড় আন্দোলেন হুশিয়ারি দিয়ে অর্জুন বলেছিলেন, “৯ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। আমি ললিপপের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না”। এই প্রসঙ্গে এদিন অর্জুন বলেন, “দাবি যদি না মানা হয় তাহলে লড়াই তো চলবেই। দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানেই। লড়াইয়ের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করব না। ওই রাজনীতিতে আমার কোনও ভরসা নেই”।