Cyclone Update: ‘অশনির’ অশনি সংকেতে কতটা উদ্বেগে বাংলা? খেলা শেষ কী মাঝ সাগরেই?

Cyclone Update: ১০ মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছনোর কথা রয়েছে অশনির। তার পর বাঁক নেবে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে। তখনই শক্তিক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

Cyclone Update: 'অশনির' অশনি সংকেতে কতটা উদ্বেগে বাংলা? খেলা শেষ কী মাঝ সাগরেই?
ছবি - অশনির অশনি সংকেতে কতটা উদ্বেগে বাংলা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 11:25 PM

লকাতা: ‘অশনির’ অশনি সংকেতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে বাংলার মানুষ। এদিকে আবহাওয়া দফতর (Meteorological Departmet) থেকে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে নতুন করে শক্তি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে নিম্নচাপ। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে (South Andaman Sea) তৈরি হয়েছে এই নিম্নচাপ। রবিবার সকালেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হতে চলেছে। রবিবার বিকেলের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘অশনি’। তাতে উদ্বেগ বেড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে। ১০ মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছনোর কথা রয়েছে অশনির(Cyclone Ashani)। তার পর বাঁক নেবে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে। এরপর এগোতে পারে বাংলাদেশের দিকে। তবে কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? এই প্রশ্নই এখন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে বঙ্গবাসীর মনে।

তবে আবহাওয়াবিদদের দাবি ১০ মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছনোর পর দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে বাঁক নেওয়ার সময়েই শক্তি ক্ষয় শুরু করতে পারে অশনি। তার জেরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের মতো স্থলভাগে এটি আছড়ে পড়তে নাও পারে। খেলা শেষ হতে পারে সাগরের মাঝেই। যদি তাই হয় তাহলে এ যাত্রায় বেঁচে যাবে বাংলা। এমনটাই মত আবহওয়াবিদদের একটা বড় অংশের। তবে ইতিমধ্যেই আগামী বুধবার থেকে বাংলার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গের সব জেলাতেই। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলাগুলির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর,দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে। কন্ট্রোল রুম চালু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সোমবার সকাল থেকেই ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। শনিবারই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব ঠেকাতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বৈঠক হয়। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে আবহাওয়ার সমস্ত আপডেট নিয়ে লাগাতার মাইকিং করতে বলা হয়েছে মূলত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বসবাসকারী মানুষদের জন্য। পাশাপাশি কোনও মৎস্যজীবী যাতে এই সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে না যায় তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজের সমস্ত রকম প্ল্যান তৈরি করে রাখারও নির্দেশ এসেছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের অঞ্চলে সাইক্লোন শেল্টারগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।