কলকাতা: সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য সাত দফার ভোটে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি (BJP)। অভিযোগ বিরোধীদের। সুর চড়িয়েছে সিপিএম (CPIM) থেকে তৃণমূল (Trinamool Congress)। যদিও বিজেপি বলছে যা হয়েছে ভালই হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক বলছেন, “কে কী মনে করছে তার জবাব দিতে বাধ্য নই। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ভাবার অধিকার আছে। আমরা চাই গণতন্ত্রের এই মহোৎসবে যাতে প্রত্যেকে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা দেখেছি রাজ্য পুলিশ আধা সেনাকে ভুল পথে চালিত করেছিল। সেটার উপর যাতে রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে মনিটর করবে এবার বলে মনে করি। সে ক্ষেত্রে সাত দফার নির্বাচন কার্যকরী হবে।”
যদিও কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় বলছেন, “আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, আমরা চাই এক দফাতেই ভোট হোক। এক দফা ভোট হলে ওদের কী অসুবিধা? বিজেপির কোনও পরিকাঠামো নেই, সংগঠন নেই, বিজেপির কোনও কর্মী নেই, কাউন্টিং এজেন্ট বসাতে পারে না। গত নির্বাচনে সিপিএম ওদের হয় কাজ করে দিয়েছিল। আমরা একশোয় একশো পাব। ৪২ এ ৪২। আমাদের প্রার্থীও সেইভাবে দাঁড় করানো হয়েছে। বিজেপি ২০১৪ সালের প্রতিশ্রুতি, ২০১৯ সালের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। এখন গ্যাসের দাম, তেলের দাম কমিয়ে কিছু হবে না।” পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বিহার, উত্তর প্রদেশের ভোটের কথাও বলছেন। তিনি বলেন, “এখানে যাঁরা বলছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্য ১ দফা আর এখানে ৭ দফা। এই প্রশ্ন যারা তুলছিল তারা ও জানেন বিহার, উত্তরপ্রদেশেরও ৭ দফা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যাবার বেলা এসেছে, দিন শেষ।”
তবে ৭ দফা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামেরা। সিপিএম নেতা সায়নদীপ মিত্র বলছেন, “বাংলায় প্রতি দফায় যে নির্বাচন হতে চলেছে এটা তো আমাদের কাছে লজ্জার। উত্তর প্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মিলে যাচ্ছে।” তিনি আবার উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুর ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বলছেন, “কেউ বলতেই পারেন উত্তর প্রদেশে ৮০ আসন বাংলায় ৪২ আসন। কিন্তু, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তামিলনাড়ুতে এক দফায় নির্বাচন হয়েছিল আর পশ্চিমবঙ্গে আট দফায়। লজ্জা লাগে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসাবে। কারণ তামিলনাড়ু আর বাংলার বিধানসভা আসন তো প্রায় এক।”