AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Train Line Detonator: জঙ্গলমহলে ওই বিস্ফোরণের শব্দ ডিটোনেটরের নয় তো? কী ব্যাখ্যা দিল রেল

Train Line Detonator: রবিবার আপ লাইনে থাকা রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক আওয়াজ পেয়ে শিলাই হল্টের কাছে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। পরে নেমে প্রায় ১৫০০ মিটার পিছনের দিকে হেঁটে যান চালক, কিন্তু তিনি কিছুই দেখতে পাননি বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং আদ্রা ডিভিশনকেকে রিপোর্ট করেছেন।

Train Line Detonator: জঙ্গলমহলে ওই বিস্ফোরণের শব্দ ডিটোনেটরের নয় তো? কী ব্যাখ্যা দিল রেল
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2025 | 3:44 PM
Share

কলকাতা: ভুবনেশ্বর থেকে নয়দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট রবিবার আচমকা একটি বিকট আওয়াজ পান। সেটা বিস্ফোরক নাকি অন্য কিছু, সেই বিষয়ে লোকো পাইলট পরিষ্কার করে জানতে পারেননি এখনও। রেলের তরফেও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি যে বিস্ফোরক ছিল কি না। তবে লোকো পাইলট আওয়াজ যে একটা বিকট শব্দ পেয়েছিলেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রেল।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভুবনেশ্বর থেকে নয়াদিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসটি আপ লাইনে যাওয়ার সময় ওই আওয়াজ পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি মনে করেছিলেন ডিটোনেটর ফেটেছে।

ডিটোনেটর কেন ব্যবহার হয়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ব্যাখ্যা দিয়েছে। রেলের বক্তব্য়, যদি কোনও লোকো পাইলট যাওয়ার সময় উল্টো দিকের লাইনে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখেন বা লাইনের উপর কিছু পড়ে থাকতে দেখেন, তখন পরবর্তী ট্রেন যেটি ওই লাইন দিয়ে আসছে, সেটিকে সতর্ক করার জন্য লাইনে ডিটোনেটর বেঁধে দেওয়া হয়।

কোনও ট্রেন দ্রুতগতিতে আসার সময় ওই ডিটোনেটরে চাকা পড়লে সেখানে ফেটে বিকট আওয়াজ হয়। এতে ট্রেনের কোনও ক্ষতি হয় না। ট্রেনের চালকও সতর্ক হতে পারেন।

রবিবার আপ লাইনে থাকা রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক আওয়াজ পেয়ে শিলাই হল্টের কাছে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। পরে নেমে প্রায় ১৫০০ মিটার পিছনের দিকে হেঁটে যান চালক, কিন্তু তিনি কিছুই দেখতে পাননি বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং আদ্রা ডিভিশনকেকে রিপোর্ট করেছেন।

তাহলে এই আওয়াজ কেন? সেটা নিয়েই চিন্তায় পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। যদিও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এই বিষয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাননি। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওয়াকিটকি ব্যবহার যখন থেকে শুরু হয়েছে, তারপর থেকে অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় ছাড়া ডিটোনেটার ব্যবহার করা হয় না। সেই জায়গায় এক্ষেত্রে আদৌ ডিটনেটর ব্যবহার হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারেও সন্দিহান তাঁরা। রবিবার একই দিনে বিকাল নাগাদ দুই জায়গা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওড়িশার সীমান্ত এলাকা সুন্দরগড় ও বাংলায় পরপর দুটি ঘটনা ঘটে।