Wheat Flour Price: ব্রেক ফাস্টে ‘ব্রেক’ পড়েছে মধ্যবিত্তের মেনুতে! হু হু করে বাড়ল আটা-ডিমের দাম
Wheat Flour Price: সামান্য ডিম-পাউরুটির ব্যবস্থা করতেও এবার নাভিঃশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের।
কলকাতা: ডিম আর পাউরুটি – সকালের জলখাবার হোক কিংবা ছোটদের স্কুলের টিফিনে অপরিহার্য। অথচ মূল্যবৃদ্ধির চাপে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুই এখন মহার্ঘ। সামান্য ডিম-পাউরুটির ব্যবস্থা করতেও এবার নাভিঃশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের।
শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। ডলারের নীরিখে টাকার দামও বেড়েছে। আর সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গমের দাম। এর জেরে রুটি, পাউরুটি, কেক সবেরই দাম এখন মহার্ঘ। বেড়েছে ডিমের দামও।
ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৬.৫০ টাকা। ক্রেট হিসেবে কিনলেও দাম ১৯৫ টাকা। কোথাও আবার একটা ডিমের দাম ৭ টাকা। এক মাস আগেও একটা ডিমের দাম ছিল ৫.৫০ টাকা।
পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন কোম্পানির আটার দাম। পেট্রোল-ডিজেলের দাম যতই বাড়ুক না কেন, প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহারে তার কোনও প্রভাবই পড়ে না। কিন্তু গমের দাম বাড়তেই প্রথম দায় চাপছে কৃষকের ওপর। অথচ কৃষকের এক্ষেত্রে কার্যত কিছুই করার নেই। এর লাভ ঘরে তোলেন ব্যবসায়ীরাই। ফায়দা লোটেন ফোড়েরাও। প্রশ্ন উঠছে এই দাম বৃদ্ধিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। গত কয়েক বছরে গমের রফতানি কয়েক গুণ বেড়েছে। তারপরেও দেশে কীভাবে এত মৃল্যবৃদ্ধি, প্রশ্ন আমজনতার।
পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরে ২১৫% বেশি গম রফতানি রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর জানুয়ারিতে ৬২২ কোটি টাকার গম রফতানি হয়েছে। এবছর জানুয়ারিতে ২.৩ হাজার কোটি টাকার গম রফতানি হয়েছে।
ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কাতার, আরব আমিরশাহি, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওমান, ইয়ামেন, মালয়েশিয়ায়।
২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত উৎপাদনের পরিসংখ্যান
২০১৫ – ২,৭৫০ কিলো প্রতি হেক্টর ২০১৬ – ৩,০৩৪ কিলো প্রতি হেক্টর ২০১৭ – ৩,২০০ কিলো প্রতি হেক্টর ২০১৮ – ৩,৩৬৮ কিলো প্রতি হেক্টর ২০১৯ – ৩,৫৩৩ কিলো প্রতি হেক্টর ২০২০ – ৩,৪৪০ কিলো প্রতি হেক্টর
সাধারণত দিওয়ালির পরই শুরু হয় গমের বীজ বোনা। এই সময়টায় মৃল্যবৃদ্ধির কোপে সার, ওষুধের দাম অনেকটাই বেশি। তাই বীজ বোনা বেস খরচ সাপেক্ষ। অথচ কৃষকরা যখন ফসল ঘরে তুলবেন, ততদিনে দাম সস্তা হবে। ফলে কৃষকদের লাভের অঙ্ক যে তিমিরে সেই তিমিরেই থেকে যাবে। বরং যে ব্যবসায়ীরা আগে থেকে গম মজুত করে রেখেছেন। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে লাভের ফসল ঘরে তুলছেন তাঁরাই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সরকার গম মজুত করলে দাম কি এতটা বাড়ত? ব্যবসায়ীদের লাভের কোপেই কি আটার দাম অগ্নিমূল্য? সরকারের কাছে ফসল বিক্রি করতে কেন সমস্যা পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের? বাজারে গেলেই এখন হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের।