Monsoon in Bengal: চলতি সপ্তাহেই বাংলা থেকে বিদায় নিতে পারে বর্ষা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর
Rain Forecast in Bengal: বাংলার জন্য মোটের উপর স্বস্তির খবরই রয়েছে, আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। উত্তর বা দক্ষিণ, কোথাওই ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। তবে কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

কলকাতা: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত বর্ষা বিদায়ের কোনও খবরই মিলছে না। এদিকে সদ্য ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছে উত্তরবঙ্গ। মেঘে ঢাকা দক্ষিণবঙ্গও। যদিও আবহাও দফতর বলছে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলায় বর্ষা বিদায়ের উপযুক্ক পরিবেশ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর বলছে গুজরাটের যে অংশগুলি থেকে বর্ষা বিদায় থমকে রয়েছে সেখান থেকে আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। একইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের একটা বড় অংশেও বর্তমানে বর্ষা বিদায়ের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে এই সব এলাকা থেকেও বর্ষা বিদায় নিতে পারে। আর তার ঠিক পরের ধাপেই বাংলাতেও তৈরি হতে পারে অনুকূল পরিস্থিতি।
বাংলার জন্য মোটের উপর স্বস্তির খবরই রয়েছে, আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। উত্তর বা দক্ষিণ, কোথাওই ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। তবে কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, দিন কিছু কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস থেকে যাচ্ছে। আপাতত ঝাড়খণ্ডে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আর নেই। ক্রমশ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে। বলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির হাত থেকে ধীরে ধীরে রেহাই মিলবে।
বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে হুগলি,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়ায়। কিছু কিছু জায়গায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসেরও দেখা মিলতে পারে। বৃহস্পতিবার হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম ও মেদিনীপুর, নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে।
