Rain Forecast: বর্ষা বলছে যেতে পারি কিন্তু কেন যাব! হাওয়া অফিস বলছে ৪ দিনেই বড়সড় হওয়া বদল
Rain Forecast in Bengal: আবহাওয়া দফতর বলছে আগামী চারদিনের মধ্যেই বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের পর্ব পাকাপাকিভাবে শুরু হয়ে যাবে। টানা ১৬ দিন একই জায়গায় সক্রিয় ছিল বর্ষা বিদায়ের রেখা। এবার তা ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে।

কলকাতা: শেষবেলাতেও বিধ্বংসী ব্যাটিং বর্ষার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে সপ্তাহান্ত থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। একইসঙ্গে কমবে জলীয় বাষ্পের দাপট। শুষ্ক হবে বাতাস। কিন্তু শুক্রবার দুপুরেই যেন অকাল সন্ধ্য়া নামল বাংলার বড় অংশে। কালো মেঘে ঢাকল কলকাতার আকাশ। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। হাওড়া থেকে হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর সর্বত্রই একই ছবি। দুপুর থেকে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরিশ পার্ক, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সব জায়গাতেই জল ছবি। দক্ষিণ কলকাতার কিছু জায়গায় জমলেও সন্ধ্যার পর তা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
যে বৃষ্টি হচ্ছে তার কারণ অবশ্য দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত। ওড়িশা থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। সে কারণেই শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসের দেখা মিলতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর বলছে আগামী চারদিনের মধ্যেই বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের পর্ব পাকাপাকিভাবে শুরু হয়ে যাবে। টানা ১৬ দিন একই জায়গায় সক্রিয় ছিল বর্ষা বিদায়ের রেখা। এবার তা ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্য়েই গুজরাট, উত্তর প্রদেশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়ে ফেলেছে। একই ছবি ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রেও। সে রাজ্যেরও কিছু অংশ থেকে ইতিমধ্যেই বর্ষা বিদায় নিয়ে নিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে আগামী মঙ্গলবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করবে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আর কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে আংশিকভাবে মেঘলা আকাশ থাকবে। স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
