Russian Wife: কোথায় ‘ভ্যানিশ’ চন্দননগরের রাশিয়ান বউমা! সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক তথ্য দিল কেন্দ্র, জারি করতে হবে রেড কর্নার নোটিস
Russian Wife: গত সপ্তাহে চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসু জানান, তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া তাঁর সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন। গত ৭ জুলাইয়ের পর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে সৈকতের পরিবার।

নয়া দিল্লি: বিগত কয়েকদিন ধরে চন্দননগরের রাশিয়ান পুত্রবধূকে নিয়ে বেড়েছে জল্পনা। পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে কোথায় চলে গেলেন ভিক্টোরিয়া? এই প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। অভিযোগ, শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী যখন ছেলেকে ভিক্টোরিয়ার কাস্টডিতে দেওয়া হয়, তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান ভিক্টোরিয়া। অবিলম্বে ভিক্টোরিয়া ও তাঁর সন্তানের খোঁজ দিতে প্রশাসন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার সেই তথ্য জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর দেশের সবকটি বিমানবন্দরে খোঁজ চালায় প্রশাসন। ভিক্টোরিয়ার নামে লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়। এরপর গত শুক্রবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, দেশের সব বিমানবন্দর ও জলবন্দরে খোঁজ নিয়েও ভিক্টোরিয়ার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বৈধভাবে দেশ ছেড়ে যাননি বলেই জানায় কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্র জানাল, সত্যিই ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন ভিক্টোরিয়া।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেখানে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানিয়েছেন, মহিলার আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করে জানা গিয়েছে যে তিনি রাশিয়ায় চলে গিয়েছেন।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুলাই অর্থাৎ সন্তানকে কাছে পাওয়ার একদিন পর বিহারে ছিলেন ভিক্টোরিয়া। সেখান থেকে তিনি যান নেপালে। সেখান থেকে আরব আমিরশাহী হয়ে রাশিয়ায় চলে গিয়েছেন তিনি। এই তথ্য পেলেও এখনও সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার তরফে নিশ্চিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন এএসজি।
ভিক্টোরিয়ার সন্তানের ভারতীয় পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় রাশিয়ান দূতাবাসের যোগ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করেছে।
এএসজি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রয়োজন হলে কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে ভিক্টোরিয়াকে রাশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। এ কথা শুনে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সব তথ্য় জানিয়ে একটি হলফনামা পেশ করুন। তারপর আমরা রায় দেব। এ ক্ষেত্রে আদালত অবমাননা করা হয়েছে। রেড কর্নার নোটিস জারি করতে হবে।”
২০১৭-তে চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় রাশিয়ার ভিক্টোরিয়ার। পরে ২০২০ সালে তাঁদের পুত্র সন্তান জন্মায়। সন্তানকে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে। মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। মাস কয়েক আগে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, সপ্তাহে তিন দিন মায়ের কাছে ও চারদিন বাবার কাছে থাকবে সন্তান। সেই মতো গত ৭ জুলাই মায়ের হাতে ছেলেকে দেন সৈকত। সৈকতের পরিবারের সন্দেহ, গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য ভারতে এসেছিলেন ভিক্টোরিয়া।
