AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Firhad Hakim’s OSD: অভিষেকের নাম করে দেদার টাকা তোলার অভিযোগ, কে এই ফিরহাদের OSD কালীচরণ?

Firhad Hakim's OSD: ২০১০ সালে কলকাতা পুরনিগমের সদর দফতরে কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে চিফ ম্যানেজার পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময়ই ফিরহাদ হাকিম কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ওএসডি পদে নিয়ে আসেন।

Firhad Hakim's OSD: অভিষেকের নাম করে দেদার টাকা তোলার অভিযোগ, কে এই ফিরহাদের OSD কালীচরণ?
ফিরহাদ হাকিম(বাঁদিকে), কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়(মাঝে), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(ডানদিকে)
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2024 | 4:59 PM
Share

কলকাতা: কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি( অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি)-কে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল। ফিরহাদের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের এক কর্মী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে কালীচরণের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ দায়ের ঘিরে শাসকদলে চাপানউতোর বেড়েছে। ওএসডি-র পাশে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলছেন, এমন অভিযোগ তিনি শোনেননি। তারপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকত, তাঁকে জানানো যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যাঁকে ঘিরে শাসকদলের অন্দরে এই চাপানউতোর, জেনে নেওয়া যাক সেই কালীচরণের প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে পথচলা…

২০০৩ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় হয়ে ভূমি রাজস্ব দফতরে যোগ দিয়েছিলেন কালীচরণ। এরপর পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস পরীক্ষা দেন। রাজ্য থেকে প্রথম হন তিনি। ২০০৮ রাজ্য পুলিশে যোগ দেন তিনি। কিন্তু ডিএসপি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় শারীরিক এবং পারিবারিক কারণে তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন।

২০০৮ সালেই ফের ভূমি রাজস্ব দফতরে পুরনো পদে তিনি ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি ম্যানেজার পরীক্ষায় প্রথম হন। কলকাতা পুরনিগমের ৯ নম্বর বরো অফিসে সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে যোগ দেন। ওই সময় ওই বরোর চেয়ারম্যান ছিলেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। তখন থেকেই ফিরহাদ হাকিমের পছন্দের আধিকারিক হয়ে ওঠেন কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর ২০১০ সালে কলকাতা পুরনিগমের সদর দফতরে তিনি সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে চিফ ম্যানেজার পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময়ই ফিরহাদ হাকিম কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ওএসডি পদে নিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে এমপি ল্যাড-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেলের মৃত্যুর পর সেই দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

মেয়রের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, কলকাতা পুরনিগমে কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই কার্যত শেষ কথা। অনেকে বলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের ওএসডি’র চোখ দিয়ে পুরনিগম দেখেন। ওএসডি-র কান দিয়ে শোনেন। মেয়রের কাছে যেকোনও ফাইল যাওয়ার আগে তাঁর কাছে যাওয়া আবশ্যিক।

তাঁর ব্যবহার নিয়ে পুরনিগমের অন্দরমহলে ক্ষোভ থাকলেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কোনও স্তর থেকে উঠে আসেনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পুরনিগমের বাম ইউনিয়নগুলির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আর্থিকভাবে সুবিধা নিয়ে ট্রান্সফার করানো, পোস্টিং দেওয়ানো, বিল্ডিং বিভাগের কাজ করা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে সেইসব অভিযোগ বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। মেয়র গুরুত্ব না দেওয়ায় মেয়র পারিষদদের একাংশের ওপরেও এই ওএসডি একাধিক ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে অতীতে।

এদিকে, মেয়রের ওএসডি ইস্যু নিয়ে এবার এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলকে বিঁধলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তিনি লেখেন, “আমি যখন দুর্নীতির বিষয়ে নিয়ে কথা বলেছি, তৃণমূলের তখন সেটা পছন্দ হয়নি। কিন্তু এখন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তাঁর নামের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। আবার ওএসডি-র হয়ে সাফাই দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। দয়া করে দলটাকে পরিষ্কার করুন।”