টিউশনে গিয়ে ২ দিন পর ফিরল ‘অপহৃত’ তরুণী, অপহরণের গল্প শুনে চক্ষু-চড়কগাছ মা-বাবার
বাবা-মায়ের পারিবারিক অশান্তি থেকে অতিষ্ট হয়ে বুধবার বাড়ি থেকে ওই কিশোরী বের হয়ে যায়। তারপর থেকে বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকাতেই কোনও হোটেলে সে বন্ধুর সঙ্গে ছিল।
কলকাতা: বিকেলে টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি নারকেলডাঙা মেইন রোডের বাসিন্দা এক কিশোরী। পরে মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসেছিল উড়ো ফোন। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেল, অপহরণ হয়নি সে। নিজেই এক বন্ধুকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক লোকেশন খতিয়ে দেখে বালিগঞ্জ থেকে এদিন বছর ১৭-র কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের পারিবারিক অশান্তি থেকে অতিষ্ট হয়ে বুধবার বাড়ি থেকে ওই কিশোরী বের হয়ে যায়। তারপর থেকে বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকাতেই কোনও হোটেলে সে বন্ধুর সঙ্গে ছিল। পরদিন বন্ধুর ফোন থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ লক্ষ টাক দাবি করা হয়েছিল। যে ঘটনার পর নারকেলডাঙা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকেরা।
তবে এদিন টাওয়ার লোকেশন অনুসরণ করে ধাওয়া করা হলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যায়। গোটা অপহরণটাই যে সাজানো, মুহূর্তের মধ্যে বুঝে যায় পুলিস। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই অপহরণকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বুধবার বিকেলে। বাড়ি থেকে টিউশনে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ১৭ বছরের এক কিশোরী। ব্যাগে ছিল ল্যাপটপও। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। আশেপাশের এলাকায় খোঁজখবর করেও কোনও লাভ না হওয়ায় তাঁরা পুলিসের দ্বারস্থ হন।
আরও পডুন: টিউশন পড়তে গিয়ে অপহৃত কিশোরী, ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে উড়োফোন এল রাতে
নারকেলডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই কিশোরীর বাড়ির লোক। এরপরই কিশোরীর নম্বর থেকেই ফোন আসে। কিন্তু কিশোরীর কন্ঠস্বরের বদলে শোনা যায় অন্য একটি গলা। ফোনে জানানো হয়, অপহরণ করা হয়েছে কিশোরীকে। মুক্তিপণ হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারী। ফোন রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির লোক পুলিসে ফোন করেন, সমস্ত বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় লালবাজারেও। তবে শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই রহস্যভেদ হল এই অপহরণের।
আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে ভুল করবে’, সেনা দিবসে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের