Arambag: ত্রাণ নিয়েও রাজনীতি! বিজেপি বিধায়ক ত্রাণ দিতে যাওয়ায় বিক্ষোভ তৃণমূলের

Arambag Flood: অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ত্রাণ দিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।

Arambag: ত্রাণ নিয়েও রাজনীতি! বিজেপি বিধায়ক ত্রাণ দিতে যাওয়ায় বিক্ষোভ তৃণমূলের
বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 3:47 PM

আরামবাগ: বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু জল নামেনি। ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। কিন্তু তাতে কী! ত্রাণ নিয়েও চলছে রাজনীতি। আজ ত্রাণ দিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের (Tmc Worker) বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ।

খানাকুলের জয়রামগ্রামে আজ দুর্গতদের ত্রাণ দিতে যান বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। দলিয় ব্যায়ে ত্রাণ নিয়ে তিনি ওই এলাকায় যান। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ত্রাণ দিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যদিও, আগেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিধায়কের বলছেন সরকারি তারা পাচ্ছেন না এলাকার মানুষজন।

এখনও খানাকুলের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। এই সব এলাকার অসহায় মানুষগুলো ত্রাণ পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয় বিধায়ক ত্রাণ দিতে গেলে বিক্ষোভে মুখে পড়তে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে ওঠা‌ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি বেছে বেছে বিজেপি করা মানুষদের ত্রাণ দিচ্ছিলেন তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কিছুটা হলেও খানাকুলের (Khanakul Flood Situation) বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জলস্তর অনেকটাই কমেছে। খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে এখনও জলের স্রোত বইছে।

তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। রূপনারায়ণের বাঁধ দিয়ে এখনও জল ডুকছে হু হু করে। বন্দর,ধান্যঘোরি,কাকনান, ঘোড়াদহ, রামচন্দ্রপুর, বন হিজলি, মাড়োখানা, নন্দনপুর, রাধাকৃষ্ণপুর, পানশিউলি সহ প্রচুর গ্রামের উপর দিয়ে জলের স্রোত এখনও বইছে।

যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছোট ছোট ডিঙি নৌকা। তবে খানাকুলের কোথাও সরকারি নৌকার দেখা নেই। অপেক্ষাকৃত উঁচু এই সমস্ত রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে ৪-৫ ফুট জলের স্রোত বইছে। সমস্ত পঞ্চায়েত অফিসই জলমগ্ন। বাজার-ঘাট, দোকান সবেতেই বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা বা তাল ডিঙি। পরপর ৩ বার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন খানাকুলের মানুষ।

তবে কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি হবে, প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। গোঘাটের ভাদুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙেছে ইতিমধ্যেই। রাতে হু হু করে জল ঢোকে আরামবাগ শহরে। সরকারি ভবনে বন্যার জল ঢুকেছে। বসতবাড়িতেও জল ঢুকেছে। বন্যায় একপ্রকার এলাকাছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান।

আরও পড়ুন: Locket Chatterjee: ‘যাঁরা লাভের আশায় এসেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই ভালো’