Hooghly: বোনাস ও জুটমিল খোলার দাবিতে সরব তৃণমূল

Arambag: আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী তৃণমূল নেতা সাকির আলি রিষড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য। সাকির বলেন, "আমাদের দুটো দাবি মিল খুলতে হবে আর পুজোর আগে বোনাস দিতে হবে।

Hooghly: বোনাস ও জুটমিল খোলার দাবিতে সরব তৃণমূল
মিল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 6:37 PM

হুগলি: সামনেই পুজো। এদিকে, বন্ধ জুটমিল। কী খাবেন ওরা? রোজগার প্রায় একেবারেই বন্ধ। সেই কারণে বোনাস ও জুটমিল খোলার দাবিতে এবার বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)।

গত সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল। সেই কারখানা খোলা নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে ইউনিয়নগুলির সঙ্গে। তবে ফলপ্রসূ না হওয়ায় মিল খোলেনি কর্তৃপক্ষ।

এবার সামনেই পুজো। বোনাস পেলে শ্রমিক পরিবারগুলির মুখে একটু হাসি ফোটে। সেই কারণে আজ রিষড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাকির আলির নেতৃত্বে ওয়েলিংটন জুট মিলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।পরে মিলের ম্যানেজার এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে মিল খোলার দাবি জানান তাঁরা।

আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী তৃণমূল নেতা সাকির আলি রিষড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য। সাকির বলেন, “আমাদের দুটো দাবি মিল খুলতে হবে আর পুজোর আগে বোনাস দিতে হবে।

এদিকে,রিষড়া ওয়েলিংটন জুট মিলের ম্যানেজার এস কে খেলোয়াড় জানান,মিল মালিক বোনাস দিতে চাইছেন। কিন্তু তার হাতে টাকা নেই। কিছু পুরোনো জিনিস মিলে পড়ে রয়েছে। সেগুলো বিক্রি করে পুরো বোনাস দেওয়া যেতে পারে। মিলের তিনটে স্বীকৃত ইউনিয়ন রয়েছে আলোচনা হয়েছে মিল খোলার ব্যাপারে। তবে উৎপাদনের বিষয়ে মালিকের বক্তব্য মানতে নারাজ শ্রমিক সংগঠন গুলো তাই মিল খোলা যাচ্ছে না। লোকসান করে মিল চালানো সম্ভব না।

উল্লেখ্য়, রাজ্যে চলছে বন্যা পরিস্থিতি। তার মধ্যে হুগলির আমতা, খানাকুল অন্যতম। কিছুটা হলেও খানাকুলের (Khanakul Flood Situation) বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জলস্তর অনেকটাই কমেছে। খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে এখনও জলের স্রোত বইছে।

তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। রূপনারায়ণের বাঁধ দিয়ে এখনও জল ডুকছে হু হু করে। বন্দর,ধান্যঘোরি,কাকনান, ঘোড়াদহ, রামচন্দ্রপুর, বন হিজলি, মাড়োখানা, নন্দনপুর, রাধাকৃষ্ণপুর, পানশিউলি সহ প্রচুর গ্রামের উপর দিয়ে জলের স্রোত এখনও বইছে।

যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছোট ছোট ডিঙি নৌকা। তবে খানাকুলের কোথাও সরকারি নৌকার দেখা নেই। অপেক্ষাকৃত উঁচু এই সমস্ত রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে ৪-৫ ফুট জলের স্রোত বইছে। সমস্ত পঞ্চায়েত অফিসই জলমগ্ন। বাজার-ঘাট, দোকান সবেতেই বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা বা তাল ডিঙি। পরপর ৩ বার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন খানাকুলের মানুষ।

বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু জল কমেনি। অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী। আমতার (Amta) দু’নম্বর ব্লকে এখনও অনেক জল। কোথাও এক কোমর,কোথাও আবার তারও বেশি। এরমধ্যে কীভাবে হবে পুজো? এই প্রশ্নই উঠছে বারবার।

গত দুই মাসে দু’বার বন্যা। তার উপর লকডাউন। সব মিলিয়ে জেরবার হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। তারপর সামনেই পুজো। জানা গিয়েছে, আমতা দু’নম্বর ব্লকের বেশির শিশুদের এখনও পুজোর জামা হয়নি। কিছুতেই জল থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। এর মধ্যে যদি শ্রমিকরা বোনাস না পান তাহলে কীভাবে চলবে সংসার চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে সাধারণের মুখে।

আরও পড়ুন: Locket Chatterjee: ‘যাঁরা লাভের আশায় এসেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই ভালো’