Locket Chatterjee: ‘যাঁরা লাভের আশায় এসেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই ভালো’
BJP: ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পর মহালয়ার দিন হুগলিতে তর্পণ করেন লকেট।
চুচুঁড়া: আজ মহালয়া। মাহেন্দ্রক্ষণে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে চলছে ঘাটে ঘাটে তর্পণ। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার ঘাট-সর্বত্র একই ছবি। বাদ পড়েনি জেলাগুলিও। গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা। করোনা বিধি মেনেই গঙ্গার ঘাটগুলোতে চলছে তর্পণ। আজ জোড়াঘাটে তর্পণ করতে দেখা গেল বিজেপি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা স্বপন পাল।
তর্পণের পর ফের দলবদলুদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপি নেত্রী। বললেন,”যাঁরা বিজেপিতে লাভের আশায় এসেছিলেন তাঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই ভালো।”
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পর মহালয়ার দিন হুগলিতে তর্পণ করেন লকেট। তবে গতবার করোনার কারণে বিধিনিষেধ লাগু থাকায় তর্পণ করেননি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা শিথীল হয়েছে। সেই কারণে জোড়াঘাটে দলীয় নেতা কর্মিদের নিয়ে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন সাংসদ।
এরপর লকেট বলেন, বিধানসভা ভোটের পর ৫১ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলাম আমরা সবাই। যারা শুধুমাত্র লাভের জন্য বিজেপিতে এসেছিল তারা যত তারাতাড়ি বিজেপি ত্যাগ করে তত ভাল। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ খুব ভালো ব্যবস্থা নিয়েছে।
এরপর ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লকেট বলেন,” ভোটে হার জিত থাকেই। আমরা ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছি। এই মানুষগুলো চেয়েছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসুক। বিজেপি মানুষের পাশে রয়েছে। মানুষের সঙ্গে রয়েছে। আগামীদিনেও থাকবে। ”
এরপর লখিমপুরের প্রসঙ্গে আসেন বিজেপি সাংসদ।” লখিমপুরের ঘটনায় তৃণমূল সাংসদরা সেখানে চলে গিয়ে আহারে উহুরে করছেন। আর এখানে বাজ পড়ে মানুষের মৃত্যু হলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আজকে যখন ৫১ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানেও কোনও তৃণমূল সাংসদ যাননি। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তারপরও কোনও সাংসদকে সেখানে পাঠানো হয়নি। বড় আমলার ছেলে হলে দুর্ঘটনা ঘটালেও তার জামিন হয়ে যায়। তাই এই রাজ্যের রাজনীতি না দেখে তারা উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছে রাজনীতি করার জন্য। ২৪ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় স্বপ্ন-স্বপ্নই থাকবে।
পেট্রোল ডিজ়েল প্রসঙ্গে সাংসদ লকেটে বক্তব্য, জিএসটি লাগাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। জিএসটি হলে অনেক দাম কমত। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তারা।
এদিকে, আজ তর্পণ ঘিরে আজ কড়া সতর্ক কলকাতা পুলিশ। গঙ্গা লাগোয়া পথে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী যান চলাচল। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৭ টি দলও। প্রত্যেক ঘাটে একটি ঘরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল থাকছে। গঙ্গার প্রত্যেক ঘাটেই চলছে রিভার ট্রাফিকের স্পিড বোট, জেট স্কি-র টহল।