Hooghly: আসছে ২০ দিনেও কমবে না জল, পুজোতে চিড়ে-গুড় খেয়েই কাটাবেন ওঁরা
Khanakul Flood Situation: দোকান পাট বন্ধ। বাজার বসার উপায় নেই এলাকায়। ফলে খাবার দাবার ও নিত্য দিনের জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শুকনো খাবারও ফুরিয়ে আসছে দুর্গতদের।
হুগলি: ধীরে ধীরে জলস্তর কমছে আরামবাগ (Arambag)-খানাকুলের (Khanakul)। তবে রূপনারায়ণের ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনও জল ঢুকছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন বানভাসিরা। খানাখুলে ঘরবাড়ি মাঠ ঘাট থেকে এখনও জল নামতে প্রায় দিন কুড়ি সময় লেগে যাবে। এমনটাই মনে করছেন বানভাসিরা।
খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের এখনও সমস্ত গ্রামই জলমগ্ন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা। আরামবাগ বন্দর রাজ্য সড়কের ওপর এখনও এক হাঁটু জলের স্রোত বইছে । পানীয় জলের কলগুলি ডুবে থাকায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন বানভাসিরা।
দোকান পাট বন্ধ। বাজার বসার উপায় নেই এলাকায়। ফলে খাবার দাবার ও নিত্য দিনের জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শুকনো খাবারও ফুরিয়ে আসছে দুর্গতদের। নৌকা নেই অনেক জায়গায়। এতে বাড়ি থেকে বেরোতেই পারছেন না তাঁরা। অসুবিধায় পড়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও।
রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাতেও সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। কোনও ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে তো আর কথাই নেই। তার মধ্যেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করছেন বানভাসিরা। এলাকায় পুলিশ রয়েছে। নৌকা নিয়ে ঘুরে দুর্গতদের সাহায্য করা হচ্ছে।
যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছোট ছোট ডিঙি নৌকা। তবে খানাকুলের কোথাও সরকারি নৌকার দেখা নেই। অপেক্ষাকৃত উঁচু এই সমস্ত রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে ৪-৫ ফুট জলের স্রোত বইছে। সমস্ত পঞ্চায়েত অফিসই জলমগ্ন। বাজার-ঘাট, দোকান সবেতেই বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা বা তাল ডিঙি। পরপর ৩ বার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন খানাকুলের মানুষ।
তবে কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি হবে, প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। গোঘাটের ভাদুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙেছে ইতিমধ্যেই। রাতে হু হু করে জল ঢোকে আরামবাগ শহরে। সরকারি ভবনে বন্যার জল ঢুকেছে। বসতবাড়িতেও জল ঢুকেছে। বন্যায় একপ্রকার এলাকাছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধানেরই আশ্রয় হয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু রাস্তার ধারের ত্রিপলের নীচে। রাজহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর প্রামাণিকের এখন পরিবার নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয় খোলা আকাশের নীচে। তবে তাঁর কথায়, ‘এখনে থাকতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’
তবে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হয়েছে। সোমবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৬৮,৪০০ কিউসেক জল । সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ। ৫০,০০০ কিউসেকের নিচে জল ছাড়ার পরিমাণ হলেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: পুজো নিয়ে বিজেপি অন্দরে দোলাচল, অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ
আরও পড়ুন: COVID: ঘাটে ঘাটে শয়ে শয়ে ভিড়, চুলোয় দূরত্ববিধি! করোনা ভুলে তর্পণের চেনা ছবি ফিরল বছর খানেক পর